
তারার আলো খবর:-অবশেষে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অপকর্মের হোতা রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালামকে বদলী করা হয়েছে। পরিচালক (স্বাস্থ্য) রংপুর বিভাগ স্বাক্ষরিত এক আদেশে রংপুর সদরে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আব্দুস সালাম তারাগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন কর্মরত থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতি সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। যে কর্মকর্তা এখানে যোগদান করতেন তিনি তার সাথে আঁতাত করে তার অপকর্ম চালিয়ে যেতেন। এবং বিভিন্ন জনকে সুবিধা দিয়ে এখানে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। ফলে অবাধে চলে তার অপকর্ম কোন সংবাদপত্রে তার বিপক্ষে খবর ছাপা হলে, সে তার দু’একদিনের মধ্যে তার পক্ষে অপর একটি সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ করে নিত। এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে অথবা খবর লেখলে তার টাকা ও বাহিনীর রোষানলে পড়তে হতো। সে দু’ একটি পত্রিকা ছাড়া স্থানীয় ও অন্যান্য জাতীয় সংবাদপত্র গুলোকে সংবাদপত্র হিসাবে গন্যই করতেন না।
তারপরও স্থানীয় তারার আলো সহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা গত দুই বছর ধরে তার বিরুদ্ধে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগের খবর প্রকাশ অব্যাহত রাখে। অনেক মানষিক চাপ, হুমকি, ধামকি, ভয়ভীতি দেখালেও পত্রিকাগুলো তার অপকর্মের খবর প্রকাশ অব্যাহত রাখে। বেশ কিছুদিন আগে তার সিন্ডিকেডে পড়া এক কর্মকর্তা বদলী হয়ে যাওয়ার পর তার সিন্ডিকেট দুর্বল হতে থাকে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার কাছে দীর্ঘদিন অত্যাচারিত হওয়া কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে একের পর এক কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দেয়া শুরু করে।

এবারের অভিযোগ গুলো তিনি আর ধামাচামা দিয়ে রাখতে পারেনি। এবারে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি গত শনিবার তদন্ত আসলে সেখানেও তিনি তার প্রভাব দেখিয়ে তদন্তকালে নিজে উপস্থিত থাকে। ফলে তার সামনে চার কর্মচারী সালামের বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। অন্যান্যরা তার সামনে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পায়,অথবা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা বাকী সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন না করে রংপুরে চলে যান। পরে অভিযোগকারী কর্মচারীরা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালামের অপসারণ দাবি করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বিক্ষোভ করে। পরে তার কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে দেন। এ খবরটি তারার আলো অনলাইন সংস্করণসহ কয়েকটি অনলাইন ও কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে খবরটি প্রকাশ করে।
এদিকে স্বাস্থ্য পরিদর্শক(চলতি দায়িত্ব) আব্দুস সালামের বদলীর খবরে অভিযোগকারীরা সহ তারাগঞ্জের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে। তাদের সাথে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে। তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশ-পাশের গ্রামবাসি। কেননা সালাম ও তার সিন্ডিকেডের অন্যায় অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশে-পাশের গ্রামের অনেককে একাধিক মামলার আসামী হয়ে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযোগকারীরা জানান, তাকে শুধু বদলী করে বাঁচিয়ে দিলে হবে না। তার দুর্নীতি অনিয়ম অপকর্মের যে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ গুলো তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এব্যাপারে রংপুরের সিভিল সার্জন হিড়ম্ব কুমার ও তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ডা: শামসুন্নাহার তার বদলীর খবরটি নিশ্চিত করেন।