আজ মঙ্গলবার তারাগঞ্জ হাটের খাস কালেকশনের জন্য কেউ ডাকেনি। গত সোম ও শুক্রবার তারাগঞ্জ হাটে গরু-ছাগল বেচা-কেনা হয়নি।

তারার আলো খবর : করোনা সংক্রমণ রোধে গরু ও ছাগল বেচা-কেনা (ক্রয়-বিক্রয়) বন্ধ থাকায় আজ মঙ্গলবার রংপুরের ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ হাটবাজার খাস কালেকশনের সাপ্তাহিক ডাক দিয়ে কেউ ইজারাদারের দায়িত্ব নেয়নি। যদিও স্থানীয় প্রশাসন নিয়ম মেনে কাঁচামালে বাজার সহ নিয়মনীতির মধ্যে চলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইজারা আদায়ের জন্য গত মঙ্গলবার প্রতি সপ্তাহের মতো ডাক আহবান করে। এতে দু’একজন ইজারায় অংশ নেয়া ব্যক্তি উপস্থিত হলেও তারা গরু ও ছাগল আপাতত বিক্রির অনুমতি না থাকার কথা শুনে তারা পিছিয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় কুর্শা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে খাস কালেক করা হবে। গত প্রায় দুই বছর ধরে এ তারাগঞ্জ হাটবাজারটি প্রায় দুই কোটি টাকার মতো ডাক হয়। কিন্তু গত বছর থেকে করোনা কাল শুরু হওয়ায় এত টাকা দামে কেউ ইজারা না নেয়ায়। স্থানীয় প্রশাসন খাস কালেকশনের মাধ্যমে কখনও এক সপ্তাহের জন্য আবার কখনও তিন সপ্তাহের জন্য ইজারা ডাক দিয়ে আসছেন। কিন্তু এ সপ্তাহের জন্য কেউ ডাক দেননি।
এছাড়াও করোনা সংক্রমণরোধে ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ হাট বাজার সহ রংপুরের ৩৫টি পশুর হাট বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই সাথে স্থানীয় প্রশাসন হাট গুলোতে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখেছেন। ফলে অনেকেই গরু বিক্রি ও ক্রয় করতে এসে ফিরে গেছেন। সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা। আর কঠিন লোকসানের আশংকা করছেন হাটের ইজারাদাররা।