
তারার আলো খবরঃ তারাগঞ্জে একটি কাঁচা রাস্তার পুরাতন কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এক বছর ধরে দুর্ভোগে পড়েছেন। এবারের বর্ষায় আবারো বন্যা হলে এলাকাবাসির সীমাহীন দুর্ভোগ পড়বে বলে পুনরায় কালভার্ট নির্মানে প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছেন।
জানাগেছে, পনি নিস্কাশনের জন্য উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের নেংটিছেড়া ক্যানেল সংলগ্ন চকতাহিরা গ্রামের কাঁচা রাস্তায় ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রস্থের একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। গত বছর বর্ষাকালে বন্যার পানির তীব্র ¯স্রোতে এ কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ে থাকায় রাস্তা দিয়ে রিস্কা, ভ্যানসহ অন্যন্যা ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আলমপুরের চকতাহিরা, দর্জিপাড়া,ভীমপুর শাইলবাড়ি, সেনপাড়া, খেনপাড়া সহ ১০টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
এসময় কথা হয় চকতাহিরা গ্রামের কৃষক শমসের আলীর সঙ্গে তিনি বলেন, ভোট আসলে প্রার্থীরা সবায় হামার প্যাকে দেইকপার চায় কিন্তু ভোট পার হইলে হামার গ্রামের মানুষের প্যাকে কাহোয় দেখেনা ব্যাহে। এক বছর ধরি আস্তাত কালভার্ট খ্যান পড়ি আছে কাহোয় খোঁজখবর নেয়ছে না। সেনপাড়া গ্রামের কৃষক নারায়ন সেন বলেন, কষ্ট করি হাটি হাট-বাজারত যাইছোল। ধান, পাট হাটট নিগামো কোনো উপায় নাই বাইধ্য হয়া গ্যারামোতে কমদামে বেইচপার(বিক্রি) নাগে। ধান বাড়িত(ধানক্ষেত) যে সার-টার দিমো সেকিনাও মাথাত করি এক দেড় মাইল উবি নিয়া দিবার নাগেছে। এই মতন করি কি পথ চলা যায় তোমরাইন কনতো।
এ ব্যাপারে আলমপুর ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ওই স্থানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণের দাবী নিয়ে গ্রামের লোকজন প্রায় প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদে ঘোরাঘুরি করেছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে তহবিল না থাকায় কালভার্ট নির্মাণ করতে পারছি না। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সম্প্রতি কালভার্ট নির্মানের বিষয়টি তুলে ধরেছি। উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ হায়দার জামান বলেন, ওই স্থানে নতুন কালভার্ট নির্মাণের জন্য কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ হলেই কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।