
তারার আলো খবর:-
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা কাজীপাড়া গ্রামের ফকিরা ইসলামের স্ত্রী লায়লা বেগম (২৫)। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। বছরখানেক আগের কথা।
পারিবারিক কাজে লায়লা বেগম রংপুর দিনাজপুর মহাসড়ক দিয়ে ভ্যানে করে এক জায়গায় যাচ্ছিলেন। তারাগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন এলাকায় আনজিরননেছা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট এর সামনে একটি মাইক্রোবাস তার ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়।
রাস্তা থেকে ছিটকে পাশের একটি খাদে পড়ে যায় ভ্যানটি। লায়লা বেগমের একটি পা ভেঙ্গে যায়। অবস্থা খারাপ দেখে সঙ্গে সঙ্গেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা তাঁর একটি পা কেটে ফেলেন।
অল্প বয়সে পঙ্গুত্ববরণ করে স্বামীর সংসারে একপ্রকার বোঝা হয়ে যান লায়লা। অভাবের সংসারে যে সামান্য অর্থ ছিল, চিকিৎসা করাতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় ফকিরের পরিবার। খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে দিন পার করছিল পরিবারটি।
অভাবের সংসারে নিজের সম্পত্তি বলতে বাড়ির ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের। অন্যের জমিতে মজুরির কাজ করেন ফকিরা। বাইরে থেকে ভাঙ্গা টিনের ঘরের ভিতরে কোন রকম শুয়ে থাকার জন্য একটি চৌকি রয়েছে, তা স্পষ্ট দেখা যায়। ভাঙ্গা ঘরে স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে কোনোরকম দুঃখ- কষ্টে চলে লায়লার জীবন।
উল্লেখিত বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পান আল-মুমিন ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান মোঃ মমিনুল ইসলাম (মমিন)। পরে তিনি তথ্যটি যাচাই করে,১২/০৫/২২ ইং তারিখে লায়লার পরিবারের সচ্ছলতার জন্য এবং চিকিৎসা বাবদ কিছু নগদ অর্থ প্রদান করেন। তিনি বলেন, সমাজের গরিব,অসহায়,দরিদ্র,এতিম,
বিধবা ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকাই আল-মুমিন ফাউন্ডেশনের লক্ষ ও উদ্যেশ্য।
সেই ধারাবাহিকতায় লায়লার পরিবারের জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা। কারণ তার পরিবার, সাহায্য পাওয়ার উপযুক্ত পরিবার। আল-মুমিন ফাউন্ডেশন সমাজের এই রকম অবহেলিত,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলো,আছে,ভবিষ্যৎ এ ও থাকবে( ইনশাআল্লাহ) বলে জানিয়েছেন আল মুমিন ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা/চেয়ারম্যান,জনাব মমিনুল ইসলাম (মমিন)।
সে সঙ্গে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন,আল্লাহ্ যেনো এই ফাউন্ডেশনের সকল দ্বীনি কাজ গুলো কে কবুল করেন,আমিন
আবেদন:- আপনারা এই রকম সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন। মোবাঃ-০১৮৭৫৪০৩৮৯৮