
তারার আলো খবর:- তারাগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিদ্যুৎ কর্মী নিহত হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা অপর এক ভ্যান চালক গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বালাবাড়ি এরিষ্টোক্র্যাট এগ্রো লিমিটেডের সমানে। নিহত বিদ্যুৎ কর্মীর নাম হাবিবুর রহমান(৪৩)।
তিনি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। হাবিবুর রহমান পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ওয়ার্ক সোপের কাজ করতেন। অপর গুরুত্বর আহত অজ্ঞাতনামা ভ্যান চালক (৩৫) সদর রংপুরের পাগলাপীরের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল প্রায় ৩ ঘটিকায় বিদ্যুৎ কর্মী হাবিবুর রহমান পাগলাপীর বিদ্যুৎ অফিসে ওয়ার্ক সোপের কাজ শেষে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন এবং অপর অজ্ঞাতনামা ভ্যানচালক নিজ ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে পাগলাপীর থেকে বামন দিঘীতে যাচ্ছিলেন। এসময় বিদ্যুৎ কর্মী ও ভ্যানচালক রংপুর- দিনাজপুর মহাসড়কের বালাবাড়ি এরিষ্টোক্র্যাট এগ্রো লিমিটেডের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঢাকা মেট্রো ড- ১২-২২৭৭ নম্বরের সব্জি বোঝাই( বেগুন ও করলা) একটি ট্রাকের চাকা পামচার হয়ে মোটরসাইকেল ও ভ্যানকে জোড়ে ধাক্কা দেয়।
এতে মোটরসাইকেল আরোহী বিদ্যুৎ কর্মী হাবিবুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা ভ্যানচালক ছিটকে মহাসড়কে পড়ে গিয়ে গুরুত্বর আহত হয়। এবং ট্রাকটি মহাসড়ক থেকে উল্টে গিয়ে ধান ক্ষেতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা বিদ্যুৎ কর্মী ও ভ্যান চালককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৫ ঘটিকায় হাবিবুরকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
বর্তমানে অজ্ঞাতনামা ভ্যান চালক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিদ্যুৎ কর্মী হাবিবুর রহমানের নিহত হওয়ার বিষয়টি পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জি এম হারুন অর রশিদ নিশ্চিত করেছেন।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি নুরন্নবী প্রধান জানান, উল্টে যাওয়া ট্রাক থেকে বেগুন ও করলা উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ট্রাকটি হাইওয়ে থানার হেফাজতে রয়েছে।