
তারার আলো খবর /রংপুর প্রতিনিধি :- রংপুরে দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ানে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১১ নভেম্বর। এবার দুই উপজেলায় ১৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে গড়ে ৭ জনের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।
পীরগঞ্জে ৯৭ জন এবং পীরগাছায় ৩৩ জন। বিগত নির্বাচনে ওই ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৬টিতে আওয়ামী লীগ একটিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল, চতরা, মদনখালী, কাবিলপুর, শানেরহাট, পাঁচগাছী, ভেন্ডাবাড়ী, বড় দরগা, কুমেদপুর, টুকুরিয়া এবং পীরগাছা উপজেলার পারুল, ইটাকুমারী, অন্নদানগর, ছাওলা, তাম্বুলপুর, পীরগাছা সদর, কৈকরী ও কান্দী ইউনিয়নের দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হচ্ছে। পীরগঞ্জের একটি ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার নির্বাচনে পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাদের সাথে কথা হলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কেউ কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সাথে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। এদিকে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা মনে করে জাপা’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুর পরে এই রংপুরে জাতীয় পার্টির তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয়তা কিছুটা ভাটা পড়েছে। বিগত নির্বাচনে জেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে হাতে গোনা দু’একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন।
তবে এবার জাপার প্রার্থীদের বিজয়ের সম্ভবনা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন জেলা জাপার একাধিক নেতা। এদিকে পীরগঞ্জ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০ ইউনিয়নে চেয়রম্যান পদে নির্বাচন করতে ৯৭ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম বিষয়টি জানিয়েছেন। অপরদিকে পীরগাছা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে এ পর্যন্ত ৩৩ জন আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহামুদ মিলন।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাহাতাব উদ্দিন জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর এসব ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র দাখিল, ২০ অক্টোবর রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোয়ন বাছাই, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর। পীরগঞ্জের একটি ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তারাগঞ্জের অবস্থা যেমন:-
অন্যদিকে তারাগঞ্জ উপজেলায় চলমান দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের তারিখ না হলেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে। তারাগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রতিটিতে একাধিক প্রাথী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসাবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারমধ্যে সয়ার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশির সংখ্যা অনেক বেশি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন। তৃতীয় অবস্থানে ইকরচালী ইউনিয়ন। বাকী দুটিতেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশির আনাগোনা শুনা যাচ্ছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আতিয়ার রহমান জানান,একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমূল সহ মনোনয়ন বোর্ড যোগ্য প্রার্থীদেরকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিবে।