ইন্টারনেটে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ,আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষণ মামলার আসামী। উল্টো আসামীর হুমকি ধামকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী ও তাঁর পরিবার। ধর্ষিতা এখন ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা।
সরেজমিন ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণপুষনা গ্রামের ভ্যান চালক ভুট্টু মিয়ার মেয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে প্রতিবেশি ছকমল হোসেনের ছেলে মাসুম আলী (২৫) তাঁর বাড়িতে গিয়ে সুযোগ বুঝে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে । এসময় কৌশলে ধর্ষক তাঁর মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ছবি ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষক ইন্টারনেটে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি এলাকার মানুষের মাঝে জানাজানি হওয়ার পর মেয়েটির পরিবার ধর্ষক মাসুম আলীকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।
কিন্তু ধর্ষক বিয়ে না করে উল্টো মেয়েটিসহ মেয়ের পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায় এবং মারপিট করে। মেয়েটির বাবা ভ্যান চালক ভুট্টু মিয়া কোন উপায়ান্তর না পেয়ে গত ১৮ জুলাই থানায় মামলা করতে আসে। কিন্তু কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নিয়ে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ১২ই আগষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যাহার পিটিশন মামলা নম্বর ১২৫/২১ । ট্রাইবুনালের বিচারক কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবাববন্দি গ্রহন,ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা,আলামত জব্দ প্রয়োজনে ডিএন পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়ে নালিশি অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গন্য করে ৭ দিনের মধ্যে ট্রাইবুনালে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
বাদীর বাবা ভ্যান চালক ভুটটু মিয়া বলেন, মামলা করার পর আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আসামী ও তাঁর স্বজনদের মামলার তোলার অব্যাহত হুমকিতে ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে চরম ভয়ভীতির মধ্যে দিন যাপন করছি।
কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, আসামী গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যে কোন মূহুর্তে আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।