ঋণের চাপে কৃষি শ্রমিকের ও জায়ের সাথে ঝগড়া করে তিন সন্তানের জননীর আত্মহত্যার

তারার আলো খবর: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় একই দিনে এক কৃষি শ্রমিকসহ তিন সন্তানের জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । আত্মহত্যার এ দুটি ঘটনায় পুলিশ রবিবার কৃষি শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছেন। অন্যদিকে তিন সন্তানের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত রিপোর্টের জন্য আজ রবিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রবিবার সকাল ৬টায় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের বাঙ্গালীপুর গ্রামের বাসিন্দা বছির উদ্দিনের ছেলে নাড্ডু মিয়া (৪০) (ওরফে কেন্দু )কে স্থানীয় লোকজন তার বাড়ির পাশে আম বাগানের একটি গাছে গলায় ফাঁস টাঙ্গানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের নিকট খবর দেন। পরে খবর পেয়ে ওই দিন সকাল ১১টায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাড্ডু মিয়ার লাশ উদ্ধার করেন। লাশ উদ্ধারকারী তারাগঞ্জ থানার এস আই মনতাছের জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় কবর দেয়ার অনুমতি দিয়ে নাড্ডু মিয়ার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাড্ডু মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর জানায়, অভাব অনটনের কারনে তার স্বামী প্রায় ৫৫ হাজার টাকা সুদের ওপর নেন। এর পাশাপাশি সম্প্রতি তাদের বিবাহিত কন্যাকে ক্লিনিকে সিজার করাতে ১০ হাজার টাকা সুদের টাকা নেন। এই সুদের টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে গত শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেন না।
অপর দিকে. একই দিন গত শনিবার দুপুরে আলমপুর ইউনিয়নের ভীমপুর ধনীপাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী পারভীন বেগম (২৯) জায়ের সাথে ঝগড়া করে নিজ শয়ন ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ।
তারাগঞ্জ থানার এস আই মাহমুদুল হক জানান, এ খবর পেয়ে গত শনিবার সন্ধ্যে ৬ টায় সঙ্গীয় ফোর্সকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরকহাল রিপোর্ট তৈরী করে পারভীনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরদিন রবিবার লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্টের জন্য রংপুর মর্গে প্রেরন করা হয়।