কাউনিয়া থেকে অপহৃত দুই স্কুলছাত্রী গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার,দুই অপহরণকারী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুরঃ রংপুরের কাউনিয়া থেকে অপহৃত দুই স্কুল ছাত্রীকে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাকির হোসেন লিটন (১৯) ও হাসিনা বেগম (৩৯) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজীপুর মেট্টোপলিটন গাছা থানা ও পুবাইল থানাধীন এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার নাকির হোসেন লিটন কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের হাসেম আলী পুত্র ও হাছনা বেগম কুর্শা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ১০ মার্চ সকালে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় দশম শ্রেণী পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রী (১৬) নিখোঁজ হয়। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজির পর মেয়েটির বাবা জানতে পারেন নাকির হোসেন লিটনের প্রলোভনে তার মেয়ে ঢাকায় অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা নাকির হোসেন লিটন ও তার পিতা হাসেম আলীকে আসামী করে কাউনিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এরপর নাকির হোসেন লিটনকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় গাছা থানাধীন খাইলকুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অপরদিকে গত ২৪ মে কাউনিয়া উপজেলার বাহাগিলী গ্রামে মাদ্রাসার যাওয়ার পথে স্থানীয় নবম শ্রেনীর একছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে পীরগাছা উপজেলার জগতপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে ওয়ালিদ হোসেন জীম (১৬)। এ অপহরণে সহযোগিতা করেন ওয়ালিদের মা হাসিনা বেগম।
এ ব্যাপারে গত ২৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা ওয়ালিদ হোসেন জীম ও হাসিনা বেগমকে আসামী করে থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশের একটি দল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাসিনা বেগমকে আটক করেন।
পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় পুবাইল থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞাত বাড়ী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃতদের পরিবারের কাছে ও দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।