কিশোরগঞ্জের বাহাগিলীতে স্বপ্নের খামার পুড়ে ছাই,অভিযোগ দেওয়ার সাতদিনেও মামলা হয়নি

ব্রয়লার মুরগীর খামার পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার অংশের ছবি। এমন ভাবে পুড়েছে, যা দেখে বুঝার উপায় নেই এখানে খামারের ঘর ছিল) – প্রতিনিধির পাঠানো ছবি ।
কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি:- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাহাগিলী ময়নাকুড়ি গ্রামের জিকরুল হকের ছেলে খামারী সোহেল রানার স্বপ্ন আগুণে পুড়ে ছাই হয়েছে।
খামার প্রতিষ্ঠা করে পরিবারকে নিয়ে একটু ভালভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন এখন দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুণে পুড়ে গেছে তার খামার। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, সোহেল রানা দুই বছর আগে একটি ব্রয়লার মুরগীর খামার প্রতিষ্ঠা করেন। খামারে আয়ে ভাল চলছিল তার। কিন্তু বাহাগিলীর আতাউর রহমান আতা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দু’লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন বলে ওই খামারীর অভিযোগ। চাঁদার টাকার দিতে না পারায় ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার খামারে আগুন দেয় আতাবাহিনীর চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। এসময় তার সাড়ে তিনশত মুরগীর বাচ্চা পুড়ে ভস্মিভূত হয়।
খামারী সোহেল রানা বলেন- দুই বছর আগে খামার প্রতিষ্টা করার পর ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখে চাঁদাবাজরা আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবী পূরণ করতে না পারায় তারা আমার খামার পুড়ে দিয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে আছি। এঘটনায় বাহিনীর প্রধান আতাসহ ৮ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু সাত দিনেও মামলাটি রের্কড হয়নি। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুল আউয়াল বলেন- আমরা এলাকায় গিয়ে একটি বৈঠক করবো এতে কাজ না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে আতাউর রহমান আতার বক্তব্যের জন্য একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।