কিশোরগঞ্জে বেড়েই চলেছে জ্বর সর্দি-কাশির প্রকোপ

স্টাফ রিপোর্টার(কিশোরগঞ্জ)ঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গ্রামগঞ্জে , জ্বর,ডায়রিয়া,সর্দি-কাশির প্রকোপ বেেেড়ই চলেছে। প্রতিদিন জ্বর সর্দি নিয়ে শতাধিক মানুষ স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে এ উপজেলায় ব্যাপক হারে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।
এদিকে করোনা বিস্তার রোধে সরকারের কঠোর লকডাউন কর্মসূচী বাস্তবায়নে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর হলেও সাধারন মানুষ তা না মানার ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমনের আশংকা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সফি মাহমুদ জানান, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রতিদিন জ্বর সর্দি হাছি, কাশিতে রোগীর সংখ্যা বেেেড়ই চলেছে। সোমবার এসব রোগে আউটডোর এবং ইনডোর মিলে মোট ২৫৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ১৫ দিনে জ্বর সর্দি হাছি,কাশি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজারের মত হবে। এছাড়াও হাসাপাতালে প্রতিদিন গড়ে জ্বর সর্দির উপসর্গ নিয়ে ১৫০ থেকে ২শ’ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন ফ্লু কর্নারের রোগী পাওয়া যাচ্ছে। নীলফামারী জেলার মধ্যে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকলেও গত কয়েকদিনে করোনা রোগী বাড়ছে। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৯৭ জন, মৃত ৩ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮১ জন। হোম আইসোলেশনে ৮জন এবং ৫ জন করোনা রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসন হাট বাজারসহ অন্যান্য জায়গায় কঠোর হলেও গ্রামে গঞ্জে কোনো ভুমিকা রাখছে না। ফলে গ্রামের মানুষ মাস্ক ব্যবহারতো দূরের কথা কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ফলে এ উপজেলায় করোনা বাড়ার যথেষ্ট আশংকা রয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে , প্রশাসনের টহলের সময় অনেকেই মুখে মাস্ক লাগিয়ে চলাচল করলেও প্রশাসন চলে যাওয়ার পর কেউ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। যারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকানপাট খোলা রাখছে তাদের জরিমানা আদায়সহ নিয়মিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করে চলছি। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছেনা।