নীলফামারী

কিশোরগঞ্জে সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী এলাকাবাসীর বাঁধায় কাজ বন্ধ

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুর্বের ব্যবহৃত কাঁদা মাটি মিশ্রিত খোয়া ব্যবহারের করায় সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। শনিবার এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে নিম্নমানের খোয়াগুলো তুলে ফেলতে বাধ্য হয়েছে ঠিকাদার। এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়ক নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তার যোগসাজসে এমনটি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপুর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইআরআইডিপি-৩) প্রকল্পের অর্থায়নে ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে রণচন্ডি ইউপি হতে বাবুর বাজার পর্যন্ত সড়ক পাকা করন প্রকল্পের চেইনেজ ২২০০ হতে ৩২০০ পর্যন্ত মোট এক হাজার মিটার সড়ক নির্মানের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় মোঃ জামিয়ার এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। কিন্তু মুল ঠিকাদারের কাছে চুক্তি কাজটি বাস্তবায়ন করছেন নীলফামারীর ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলাম। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী বিধি মোতাবেক প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর নিয়ম থাকলেও তা লাগানো হয়নি।

প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম, আজিমুদ্দিন মিয়া, আসেদুল মিয়া , কাকন মিয়া সহ শতাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন। গত দুই তিন মাস আগে নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল সড়কটির নির্মান কাজের উদ্ধোধন করেন। উদ্ধোধনের পর ঠিকাদার সড়কের বক্য্রকাটিং করে বালু ফেলে কোন ধরনের ফিলিং(রোলিং) না করে চলে যান। বালু ফিলিং ছাড়াই শনিবার ১০ থেকে ১৫ টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টরে করে ঠিকাদারের লোকজন পুরোনো পরিত্যাক্ত মাটি মিশ্রিত খোয়া এবং পুরোনো কার্পেটিংএর পাথর নিয়ে এসে সড়কের নির্মান কাজ শুরু করেন। আমরা এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে কিছু নির্মান সামগ্রী উত্তোলন করে নিয়ে চলে যান।
ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলাম, এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে সড়কের নির্মান সামগ্রী ফিরিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, খোয়াগুলোতে কোন সমস্যা ছিলনা তবে বালুতে একটু সমস্যা ছিল। পুরোনো কাপেটিংয়ের পাথরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোয়া এবং বালুর মিশ্রনের সময় কিছু পুরোনো পাথর যেতে পারে।
সড়ক নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জগোবন্ধু রায় বলেন, শিডিউল অনুযায়ী যেভাবে সড়ক নির্মান করার কথা সেভাবে সড়কের কাজ হবে। নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুর রউফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button