
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বক্তব্য তুলে ধরা হলোঃ-
তারার আলো খবর : কৈফিয়ত তলবের মনগড়া জবাব দিয়েছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (সহঃ স্বাস্থ্য পরির্শক বেতনে) আব্দুস সালাম। তার এ মনগড়া জবাব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলমান ২০২১ সালের ২২ আগস্ট সকাল ১১টায় উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের হাতীবান্ধা কমিউনিটি ক্লিনিকে পরিদর্শনে যান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামসুন্নাহার। কিন্তু সেখানে উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার) বা সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক কেউই ছিলেন না। তাদের তদারকির দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালামকেও পাওয়া যায়নি সেখানে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা বন্ধ রেখে তারা অন্যত্র অবস্থান করছিলেন। এতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালামের কমিউনিটি ক্লিনিক তদারকি করতে ব্যর্থতা প্রতীয়মান হয়েছে বলে মনে করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা। এরই প্রেক্ষিতে কর্তব্য কাজের গাফিলতির জন্য কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ৩ (তিন) দিনের মধ্যে তার সঠিক জবাব জানতে চেয়ে গত ২৫ আগস্ট চিঠি পাঠানো হয় স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালামকে। কিন্তু গত ৩১ আগস্ট আব্দুস সালাম একটি লিখিত পত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা বরাবরে মনগড়া জবাব উপস্থাপন করেন। স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা তার ওই চিঠিতে মনগড়া জবাব গ্রহণ না করে উক্ত চিঠিতেই আবারও সঠিক উত্তর দিতে নির্দেশ প্রদান করলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন যুক্তিসংগত উত্তর প্রদান করতে পারেননি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বক্তব্য:-
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামসুন্নাহার বলেন, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কয়েক বছর আগে কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা পুনঃরায় চালু করেছেন। আমি হাতীবান্ধা কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা দানের মান সরেজমিনে দেখতে গেলে কমিউনিটি ক্লিনিকটি বন্ধ দেখতে পাই। স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালামের কাছে ওই কমিউনিটি ক্লিনিকটি বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। এতে আব্দুস সালামের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা প্রতীয়মান হয় বলে আমি মনে করি। তাই আমি তাকে তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে চিঠি প্রেরণ করি। কিন্তু মনগড়া জবাব উপস্থাপন করায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এতে আব্দুস সালাম আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন এবং আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।