কোভিড: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে শনাক্ত ও মৃত্যুর আবারও রেকর্ড, শনাক্তের হার ২৯.৩০ শতাংশ

তারার আলো ডেস্কঃ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এই সংখ্যা ১৬৪ জন।
ওই একই সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে যে এই সময়ে সারাদেশে নয় হাজার ৯৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চলমান ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে রেকর্ড হচ্ছে।
মাত্র গতকালই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল যে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা ছিল একটি নতুন রেকর্ড। গতকাল আট হাজার ৬৬১ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।
কেবল শনাক্ত আর মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড নয়, বরং স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও ধীরে ধীরে বাড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২৯.৩০ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ২৮.৯৯ শতাংশ।
আজকের পাওয়া পরিসংখ্যান-সহ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৫ হাজার ২২৯ জন।
আর গত বছরের ৮ই মার্চ প্রথম রোগী শনাক্তের কথা ঘোষণা করার পর থেকে সব মিলিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো নয় লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার দুইটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা একশো’র উপরেই থাকছে।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্যে আরও জানা যাচ্ছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১০৯ জনই পুরুষ। এদের ৮৩ জনের বয়স ৬০ বছরের উপরে।

সবচেয়ে বেশি ৫৫ জন মারা গেছেন খুলনা বিভাগে। ঢাকায় মারা গেছেন ৪০ জন।
বাংলাদেশ সরকারের একটি গবেষণায় জানা গেছে যে এখন সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ভারতে প্রথমে শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট দ্বারা ঘটছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ১লা জুলাই থেকে আরোপ করা এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে, যা ১৪ই জুলাই পর্যন্ত চলবে।