চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজা আটক

তারার আলো খবর / লালমনিরহাট সংবাদদাতা-: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এলাকায় আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী নিহতের আপন ভাতিজা সোহেল রানাকে (১৯) এগারো দিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে দোয়ানী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত আব্দুল মালেক দোয়ানী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। আব্দুল মালেক একজন কৃষক।
হত্যাকান্ডের পরদিন সোহেলসহ পাঁচজনকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুল বারেক। হত্যাকাÐের পর থেকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, পার্শ^বর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে এবং তারাই এ হত্যাকাÐের সঙ্গে জড়িত।
ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে নিহতের ভাতিজা সোহেল রানাকে আটক করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এর আগে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিককে ঘটনার মুল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মানসিক ক্ষোভ থেকেই তার চাচাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। বাজার থেকে একটি হাতুড়ি কিনে সন্ধ্যার পর বাড়ির সামনে বসে অপেক্ষা করতে থাকে চাচার বাড়ি ফেরার। বাজার থেকে ফিরে বাড়িতে প্রবেশের সময়ই সুযোগ বুঝে ওৎপেতে থাকা ভাতিজা সোহেল আব্দুল মালেকের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরীটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয় সোহেল। সোহেলের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী ওই ডোবা থেকে হাতুড়ীটি উদ্ধার করা হয়।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রামে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাড়ীর সামনে হত্যাকাÐের শিকার হন আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক। এঘটনায় নিহতের ভাতিজা সোহেল রানাকে হত্যাকান্ডের ১১ দিন পর আটক করা হলে হত্যাকান্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল। তারই দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাÐে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এর সাথে আরো কেউ জড়িত কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আজ শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।