
তারার আলো খবর: ছেলের হাতে মোটরসাইকেল দিয়ে তার সাথে ঘুরতে গিয়ে তারাগঞ্জ সদর বাজার থেকে প্রায় ১ কি: মি: অদুরে কেল্যাবাড়ি শিমুলতলা নামক স্থানে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেল চালক ছেলে ও তার নানি গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর)বিকেল প্রায় ৪ টায়। তবে মোটরসাইকেল চালক সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুরের খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী।
জানাগেছে, সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর বালাপাড়া গ্রামের শচিন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী মালারাণী(৪০), ১৫/১৬ বছরের পুত্র সুজন রায়ের হাতে শচীনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে বৃহস্পতিবার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায়, তার বাবা-মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখান থেকে বিকেলে ছেলের মোটরসাইকেলে মা সুধারানীকে(৬০) সাথে নিয়ে একই মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। তারাগঞ্জ –কিশোরগঞ্জ রোড দিয়ে তারাগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে রওনা দেন।
কিন্তু তারাগঞ্জ থেকে এক কি:মি: যেতে না যেতে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেল্যাবাড়ি শিমুলতলা নামক স্থানে একটি বেটারীচালিত অটোর সাথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা মালারাণী ও তার মা সুধারানী ও ছেলে সুজন চন্দ্র রায়(১৬)গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মালারাণীর মৃত্যু হয়।
পরে গুরুত্বর আহত সুধারাণী ও সুজন চন্দ্র রায়কে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন সুজন চন্দ্র রায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।