টাকা পাইসা গরু ছাগল যা আছিলো সবই গেলো বেলালের চিকিৎসা করতে

তারার আলো খবর : ঘরোত যা টাকা জমা আছিলো সেগুলো তো সউগ গেইছে তা বাদেও গরু ছাগল যা আছিলো সউগে বিক্রি করি দিনো বেলালের চিকিৎসার জৈন্যে। তাও বেলাল ভালো হয়া বাড়ি আসুক। কিন্তু তাও এখনো কোন নিশ্চয়তা দেয় নাই ডাক্তার। কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইকরচালী কাজী ফার্মের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বেলালের ভাবী মোকমিনা বেগম (২৫)। বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে তারার আলো নিজস্ব প্রতিবেদক দিপক রায় ইকরচালী ইউনিয়নের বিড়াবাড়ি ফকিরপাড়া বেলালের বাড়িতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।
সরেজমিনে এদিন বেলালের বাড়িতে গেলে জানা যায়, বেলালের বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই রংপুরে গেছে বেলালকে দেখতে। বাড়িতে আছে শুধু বেলালের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মোকমিনা বেগম ও মামাতো বোন ও চাচাতো ভাবী সেলিনা বেগম। পরিবারের খোঁজ খবর নিতে বাড়িতে এসেছেন বেলালের বাবা মোস্তফার মামা নুরুল হক, বেলালের ফুফু মমুজা বেগম ও মামী রাহেনা বেগম। কথা হয় তাদের সাথেই । বেলালের দুই ভাবী জানান, বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পর বেলালকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। টানা ৫ দিনে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করার পরেও সেখানে চিকিৎসার পর কোন উন্নতি না হওয়ায় সোমবার তাকে রংপুরের ডক্টরস ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডক্টরস ক্লিনিকের ডাক্তার বেলালের মাথা অপারেশনের পরামর্শ দেন। ব্যয় ধরিয়ে দেন প্রায় ২ লক্ষ টাকা। দিন মজুর মোস্তফা আদরের ছোট ছেলে বেলালের চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক বাড়িতে থাকা দুইটি গরু ও একটি ছাগল বিক্রি করে দেন। কিন্তু এতেও হচ্ছিল না অপারেশনের টাকা। এ অবস্থায় দিশেহারা বাবাকে ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য নিজের পালিত একটি ষাঢ় গরু বিক্রি করে টাকা তুলে দেন একই গ্রামের শ^শুরবাড়িতে বসবাসরত বেলালের বড় বোন। অনেক চেষ্টার পর বেলালের বাবা মোস্তফা ২ লক্ষ টাকা নিয়ে জমা দেন ডক্টরস ক্লিনিকে। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টায় মাথা অপারেশন করানো হয় বেলালের। অপারেশনের পর আবারও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বেলাল হোসেনকে। পরিবার পরিজনদের বলা হয়েছে ৪৮ ঘন্টা আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না কি হবে। এমতাবস্থায় বেলালের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে সুধীজনদের সহায়তা চেয়েছেন তার পরিবার। ০১৩২১৪৮৯০০৩ নগদ একাউন্টের মাধ্যমে সুধীজন ও মানবতাবাদীদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন তার পরিবার।