
কপাল বাহে কপাল। বহু আশা করি নাতি দুইটাক ইন্টারগার্ডেন ইস্কুলোত বর্ত্তি করানু, কিন্তু কি করিম বাহে আশার মুকোত মোর ছাই পইছে। ঐ যে ছাওয়ার ঘরক একরাইশ টাকা দিয়া বই কিনি আননু যাদুর ঘরে মোর ইস্কুলের দুয়ারত পাও দিবার পাইল না। কোটেকার কোন করোনা আসি ছাওয়া ছোটোর ঘরে ইস্কুল মাদেস্তা যাওয়া বন্দ হয়া গেলো। পেরায় দের বছর থাকি ছাওয়া গিলা স্কুলের পেকে মুকো করে নাই। কন তো কি হইবে বাহে। ছাওয়া ছোটো গিলা কি মুর্ক হয়া যাইবে।
ইস্কুল যেয়া সারেরটে না পইরলে কি আর বাড়ীত বসি পড়া হয়। হামরা তো গরীব মানুষ বাড়ীত মাষ্টার রাখি পেরাইভেটো পরের পাইছিনা। ধনী মাইসের ছাওয়া ছোটো তো ওতে টাকা পাইসা দিয়া এটে ওটে পেরাই ভেট পরেছে, কিন্তু গরীব মাইসের ছাওয়া গিলার কি হইবে। মাষ্টার গিলাক তো সরকার বসে বসে বিল বেতন দেয়ছে আর মাষ্টার লাও বসি বসি বিল বেতন পায়ছে। আল্লাহ ওমার ইলারে কপাল কইচ্ছে। কথা গিলা শুনি হামার বসির মাষ্টার কয়ছে বেতন পাওয়াটা বড় কথা নোহায় বাহে হামরাও বাড়ীত বসি বসি থাইকলে বাউড়া পাগলা হয়া যামো। আল্লা যে কি গজব দিলো বাহে ছাত্র ছাত্রী গিলার নেখা পড়া গুলা একেবারে মাটি হয়া গেলো। আসলে কথা তো ঠিক।
পেরাইমারি হাই ইস্কুল, কলেজ আর আলিয়া মাদরেসার কোনো ছাত্র ছাত্রীও কেলাশ করেছেনা। মাঝে মাঝে কমপিটার থাকি প্রশ্ন আনি বাড়ীত বই দেখি নেকি মাষ্টারের ঘরক জমা দিয়া আইসেছে। এই বুদ্ধিটাও যদি সরকার না কইল্লে হায় তা হইলে তো ছাত্র ছাত্রী গিলা বই খাতা খুলিয়াও দেখিল না হায়। দুঃখ নাগে বাহে ছাওয়া ছোটো গিলা সারা দিন ঐ যে ফাওরি ডাংগা খেলা কিরিকেট না টিরিকেট আর ফুটবল খেলা নিয়ায় ব্যস্ত। কি অবস্থা বাহে মসজিদের মক্তব গিলাও বন্দ। হাফোজ্জ মাদেস্তা গিলাও বন্দ। সে কথা আর কননা বাহে ইসকুল, কলেজ আর মাদেরেসা গিলার মাঠত এক হাটু খাস গাছাইছে। হামার ডাংগা পাড়ার হাফেজ্জিয়া মাদেরেসাটার মাঠটা দেখি তো মুই অবাক। গাছের পাতে আর খাসে একে বারে জঙ্গলবাড়ী হয়া গেইছে। দুঃখ নাগে বাহে শিক্ষার এই পবিত্র জাগা গিলা আইজ করোনার জৈন্যে বন্দ। তাই সোবায়, করোনার ঠিকা নেই, মাস্ক পড়ি, স্বাস্থ্য বিধি মানি খোদার কাছে দোয়া করি খোদা যেন দেশটাকে করোনা মুক্ত করে আবার আগের মতো স্বাভাবিক করি দেয়।