“টাকুর আলির বয়ান”

সকাল বেলা ঘাড়োত গামছা খান নিয়া পান চাবাইতে চাবাইতে হামার পাড়ার ছমির আলি ক্যনেলের এত্তি আইসেছে। মনে হয়ছে খুব চিন্তায় আছে। মোর সাথে এতো খাতির তাও মোক কোনো কিছু না কয়া আপন মনে হাটেছে। ভাবুনু মানুষটা বোধায় মোক দ্যখে নাই।
যে মানুষটা মোর সাথে আওচাও করার জৈন্যে মোক খুজি বেড়ায় আর সেই মানুষ মোক কোনো কিছু না কয়া দোলা বাড়ীর ওত্তি যায়ছে। নিজে যাছি ডাকানু কিরে ছমির আলি বাড়ীত চা নাস্তা খেয়া পান চাবাইতে চাবাইতে মনের সুখে দোলা যাইছিস আনা যে কথাও না কইস। ওয় থমকি দাড়ে কয়ছে না দাদা মুই ভালো করি খেয়াল কর নাই। চা নাস্তা আইজ কর নাই দাদা।
সকাল সকাল নুন তেল দিয়া পন্তা খেয়া বিড়াছু। বাড়ীত তো মেলা মানুষ আর চা খাওয়া হয় না। চা চিনি সোয়াবিন আর আটা ময়দা যে দাম বাইরছে তাতে বাড়ীত চা পরাটা খাওয়া হয় না। সেই তোরে কছির চিনি, সোয়াবিন তেল আর আটা ময়দার দাম যে ভাবে দিনে দিনে বারেছে তাতে চা খাওয়া তরি তরকাইত সোয়াবিন তেলো খাওয়া বাদ দিবার নাইকবে। কয়ছে দাদা তোর তো চিন্তা নাই তোর তো ডাইবেটিক তুই তো দাদা চিনি চাড়া চা খাইস। তা দাদা তুই করোনার এন্দেকশন নিছিস।
হ্যরে মুই তো নিছু তা তুই নিছিস। ওয় কয়ছে সেই টায় তো সকাল থাকি ভাবোছো দাদা। নমলা ওয়া বাড়ীগিলাত মরন ঘাস হইছে না নেলাইলেও নোহায় টাকা পাইসারো আনা ঠেকা। সেই জৈন্যে নিজে কয়দিন নেলা নেলি করি উরিয়া টুরিয়া দিয়া করোনার এন্দেকশন দিবার যাইম। আর কইসনা দাদা কয়দিন থাকি ফির উরিয়া টুরিয়া গিলার দামো বারি গেইছে। কয়দিন আগোত যে উরিয়া দশ বিশ কম আটশ টাকাত কিননো সেই উরিয়া এখন নয়শ দশ বিশ টাকা। আটশ টাকার উরিয়া নয়শ টাকা পঞ্চাশ টাকার চিনি আশি টাকা একশ টাকার সোয়াবিন ডেরশ টাকা। এই ভাবে যদি দিনে দিনে দাম বাইরতে থাকে তা হইলে হামার ইলার গরিব মাইসের তো খাড়ায় মরন হইবে।