
বাপরে বাপ! কয়দিন থাকি যে গরম কইরছে তাতে মোর দেহাটা অ্যাকেবারে সিজি গেইছে। ভাদোর মাস নাই পরতে ভাদোর মাসি তালপাকা গরম শুরু হইছে। একটেও ভালোমতে বসি থাকা যায়ছে না। গাও পাও ঘামি কাপড় চোপড় গ্যাদ গ্যাদা হয়ছে। আর ছোট ছোট ছাওয়া গিলার কথা কননা। যাদুর ঘরে গরমের ঠেলাত গুদ গুদা হইছে। গছের ছ্যায়া কন, আর পাকার বাতাসের কথা কন একটাও পাত্তা পায়ছে না। এই গরমের জ্বালা থাকি বাঁচিবার জৈন্যে ছোট ছাওয়া গিলাক আনা শান্তিতে নিন পারিবার জৈন্যে সোবায় মিলিয়া একরাইশ টাকা খরচ করিয়া কারেন নিনো। হায়রে কপাল কি আর কইম কারেন বোধ হয় হইছে হুচুক চুকের বাচ্চা, এই আইসেছে এই যায়ছে। বড় শখ করি গরম আনা বাতাস খাবার জৈন্যে মেলা টাকা দিয়া কারেনের পাকা কিননো। এ্যলকার ছাওয়া গিলা ফির ঐলাক কয়ছে ফ্যান। হামরা ইলা তো আগিলকার মানুষ গরমের সময় হাকাইয়ের বাতাসোত দিন কাটাছিনো। তাতেই হামার দিন ভালোই গেইছে। এখন কারেনের পাখা কন আর ফ্যানের পাখা কন ওয় কিন্তুক কারেন ছাড়া আর ঘোড়ে না। ঐ যে কনু হুচুক চুকের বাচ্চা কখন আইসে কখন যায়। যখন কারেন থাকে তখন আনা আরাম হয় আর হইতে সোবায় গাং টিকটিকির মতন কারেনের পাখার পেকে চ্যয়া থাকে। হায়রে কপাল কারেন গেইলে আইতত কানার নানতিন চউক বন্দ করি বসি থাকির নাগে। এখন কারেনের আসাত কাহোয় আর হেরকিন নম্প ধরায়ে না। কোনো কোনো বাড়ীত হেরকিন নম্প উঠি দিছে। নোহায় তা কি কারেনের টাকা দেমো ফির কেরাছিন তেলো কেনমো? হায়রে কারেন তুই না থাকাতে তো হামরা ইলা নম্প হেরকিন নাগেয়া হাকোইর বাতাস খেয়ায় তো ভালোয় আছিনো। একদিন কারেন দেখিয়া ভাত খাবার বইসছি। দুই এক গাস করি ভাতো খাছি কারেনটা ফুরুত করি না চলি গেল। আন্দারোত টেবিলের উপর গ্যাস লাইটা হাস্তেবার য্যয়া মুখ প্যাকে পড়ি গেনু, গ্যাসলাইটা হাতত নিয়ে জলে নম্প ধরে দ্যখোছো মোর পাতের তরকাই বিলাইয়ে খাইছে। মোর নাতিটা হাইসতে হাইসতে মাটিত মুখ নাগাইছে। পরে মোক কয়ছে দাদা টাকা খরচ করি কারেন নিলু আর ভাত খাবার বসি এই কারেন য্যয়য়া তোর পাতের তরকাই বিলাইক খোয়ালু। মুই আর কি কইম। মুই তো আহাম্মক সাইজনো। এপ্যাকে আবাদ-সুবাদ নিয়া মহা চিন্তাত পরি গেইনো। শাওন মাসের আধেক দিন চলি গ্যাল এলাও ওয়া গারির পাইনো না। এবার কেনবা আকাশের ভালো মতোন ঝরি হওছেনা, আইল-মাললি ভালো করি বান্দি থুইয়া এডি করি থুবার নাকবে। এ্যাকনা বেশি করি ঝরি হইলে ওয়া গারি ফেলার নাগবে।