
মোর বুড়িটার খ্যচ খ্যচি সবার না প্যয়া গামছাখান ঘারত ফ্যালে বাজারত যাবার জৈন্যে বাড়ীত থাকি বেড়ানু। অনেকটা ঘাটা আসিয়া দ্যর দ্যর করিয়া পানি আইল। বাইস্যালি দেওয়া তো তা অমন করি পানি হইবে। ছাতিটা নিবার ফির মোর ফমে নাই। তা ঘাটার গোরের একটা দোকানের চালিত নুকানু। ওই ঠে কোনা ফির হামার পাড়ার ছপদ্দি ভ্যানখান ধরি অয়ও নুকাইছে। দেওয়াটা ভালো হইলে বাজার যাবার জৈন্যে ছপদ্দির ভ্যনত চন্নু। ঘাটাত চপদ্দি মোক কয়ছে দাদা আইজ যে ফির নাল বেলাতে বাজার বেড়াছিস। অক কনু ছপদ্দিরে আর কইস না, মোর বড় নাতনীটা অর পরার বাড়ী থাকি হামার এই ঠে আইলছে। আদা-মরা ছাওয়া তো অয় ফির অর দাদীরটে দেশী মাছ খাবার হাউস কইরছে। অয় ফির হামার দিঘীর মাছ একটা মাছও খায় না। আর কি কবু ছপদ্দি পোয়াতি মাইসের হাউস করা খাওয়া না খোয়াইলে বেলে ছাওয়ার নালপড়ে, বুড়িটার মোর যত বানানি কথা। কয়দিন থাকি বাজারত ঘোরোছো ছপদ্দি কিন্তুক কোন দেশী মাছ পাওছো না। গুড়া-পুটি মাছ আনা নিবার কছিলো অসুন শাক দিয়া বেলে নাতনীটাক খোয়াইবে। পোয়াতি মাইনসোকতো আনা ভালো খোবার নাইকবে। তা না হইলে ভাইটা মিনের শট হইবে। তোর দাদী কয় হালা চেং শাটি মাছ নিবার কছিলো, বত্তে ধুইয়া বেলে নাতনি টাক খোয়াইবে। হায়রে কপাল, মাছ তো দুরের কথা মাছের আইসাও নিবার পাও নাই। আনা যদিও বেড়াছিলো তা সবারে কাড়া কাড়ি। মুই ওমার পাইসার গোরত পাত্তায় পাও নাই। দ্যশত মাছের আকাল পইসেরে ছপদ্দি। আর আকাল না পড়িবে বা ক্যানে। আনা পানি হইতে না হইতে পোনা মারা কারেন জাল দিয়া এলা মানুষ নদীত, দোলাত সারাদিন মাছ ধরে। একটা পোকর ২/৩ বার করি ছেকিয়া মাছের গুষ্টি শেষ করে। আর জমিত যে এন্ডিন দিয়া মানুষ এখন আবাদ করে তাতে মাছের বংশ আর থাইকবে না। আগত দেখিস নাইরে ছপদ্দি, কতুল্যা যে সইল, বইল, শিংগি, মাগুর, টেংনা- শাটি মারছিনো এ্যাখোন চউকে দেখা যায় না। আর ইলশা মাছ হামার মুখত না চড়িয়ে ছপদ্দি। গত হাটে আনা ইলশা মাছ নিগাছিনু তা তোর দাদী কয়ছে এটা ইলশা- না টিলাশা। বাসনা টাসনা কিচ্ছুই নাই। আর কাটার জৈন্যে বেলে খাবারে পায় নাই। পরে শুন্নু ওটা বেলে বিদেশি ইলশা। হামার দ্যশের ইলশা গিলা কি কুমীরে খাইসেরে। তা আইজ যদি দেশী মাছ টাজ নাও পাও তা হইলে শাক আর দেশী মাছের শুকটা টুটকা নিয়া বাড়ী যাইম। দুধের সাধ ঘোলে মিটাম।