কুড়িগ্রাম

টিসিবি’র পণ্যে ডিলারের অনিয়ম

বি. আই. বাধন, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
বাজার মূল্যের কিছু টাকা বাঁচাতে টিসিবি’র পণ্যের প্রতি গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষের দৌঁড়ানি। সকাল ৯টা বাজার আগেই নির্দিষ্ট স্থানে মানুষের লম্বা লাইন। এক হাতে টাকা, অপর হাতে ব্যাগ।

টিসিবি’র পণ্য আসছে আসছে করে বারবার লাইনে দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরে তাকা। রোদে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর অপেক্ষা। এমন অবস্থা গত বৃহস্পতিবার রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে।

অবশেষে টিসিবি’র লোকজন আসলো দেড়টার পরে। এর কিছুক্ষণ পর শুরু হলো হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পণ্য বিক্রি। যেখানে নিয়ম-নীতি, সুষ্ঠু পরিবেশের নাই কোনো তোয়াক্কা। লাইনে দাঁড়ানো মানুষের হুড়াহুড়ি আর অপেক্ষা। কেউ বা আবার অমনি এসে সবার আগে পণ্য কিনছেন। টিসিবি’র কর্মীদের গায়ে নির্ধারিত পোষাক থাকার কথা থাকলেও তা ছিলো মাত্র দু’জনের গায়ে।

অন্য চারজনের মধ্যে ১১ বছরের মেহেদী হাসান নির্ধারিত পোষাক ছাড়া করছেন টিসিবি’র শিশুশ্রম। টিসিবি’র হয়ে পণ্য দিচ্ছেন। যদিও টিসিবি’র প্রতিনিধি মামুন প্রথমে মেহেদীকে তাদের লোক বলে অস্বীকার করছিলেন, পরে স্থানীয় লোকজনের সামনে স্বীকার করতে বাধ্য হন। টিসিবি’র পোষাক ছাড়া বাকি তিনজন হলেন, শওকত হাসান, রায়হান, ডিলারের বড়ভাই মো. মামুন।

এদিকে পণ্য বিক্রয়ে বিশৃঙ্খলতা থাকায় অনেকেই টাকা ও কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন। কার্ড ও টাকা হারিয়েছেন ইউনিয়নের দক্ষিণ খামারপাড়ার তৈমুর ইসলাম, মাহাবুর রশিদ, মেনহাজুল ইসলাম ও দুলাল হোসেনের। অনেকের কার্ড ও টাকা দিয়েও মিলেনি টিসিবি’র পণ্য। সারাদিন অপেক্ষার পর কার্ড ও টাকা হারিয়ে সন্ধায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাদের।

এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবি’র ডিলার মৌসুমী আক্তার মুঠোফোনে বলেন, আমার বাবা মোখলেছার রহমান ও বড়ভাই মামুনকে সেখানে পণ্য বিক্রি করতে পাঠাইছিলাম। সেখানে কি কি অনিয়ম হয়েছে, তা আমার জানা নেই।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাই নি। তবে ডিলারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button