রংপুরস্থানীয়

তারাগঞ্জে পুলিশের অভিযানে থাই লটারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করলেও ২জনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

তারার আলো খবরঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর হাড়িকাটা গ্রামে থানার পুলিশ প্রায় রাতভর থানার অভিযান চালিয়ে বিদেশী জাল নোটসহ থাই লটারি চক্রের(খেলার) ৪ সদস্যকে আটক করে। পরে থানায় নেওয়ার পথে ২জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে পুলিশ গত বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ওই গ্রামে অবস্থান করে পুলিশী অভিযান চালান।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে ঘনিরামপুর হাড়িকাটা গ্রামে তারাগঞ্জ থানার এসআই তোহাকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই আমিনুল ইসলাম ও এ এসআই সাইফুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে থাই লটারী চক্রের (খেলার) ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে। থানায় নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের ভাষ্যমতে প্রতারকও বটে। পরেরদিন গ্রেফতারকৃত ২জনকে আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে গ্রেফতারকৃতরা হলেন তারাগঞ্জ উপজেলার ২নং কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর হাড়িকাটা গ্রামের অবিনাশ রায়ের পুত্র গুণধর রায় (২১) ও একই এলাকার উপন্দ্রে রায়ের পুত্র কনক রায় (২২)। এ সময় থাই লটারী খেলায় ব্যবহৃত থাইল্যান্ডের জাল মুদ্রা ৮০টি(সেখান ভাষায় যাকে বাথ বলা হয়। যা এক একটি একহাজার টাকার নোট।

তাহলে মোট হিসাব দাঁড়ায় ৮০ হাজার টাকা। যা সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫এর এ(বি) ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,ঘটনার রাতে পুলিশ ওই হাড়িকাটা গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায়, এসময় আরও দুটি বাড়িতে থাই খেলার সরঞ্জাম ও মুদ্রা উদ্ধার করে। ওই গ্রামের সামছুলের বাড়িতে সহ আরও একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সামছুলের পুত্র মাসুদ(২০) সহ আরও একজন যুবককে আটক করে হান্ডক্যাপ লাগায়।

পরে থানায় নিয়ে আসার পথে অজ্ঞাত কারণে তাদের দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুইজনের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাড়িকাটা গ্রামের মাথায় জিন্নুরের বাড়ির কাছে মোড়ে অপর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাওয়ার আগে।

একাধিক বাড়িতে পুলিশি অভিযানে কারণে অনেকের মধ্যে হয়রানী আতঙ্ক বিরাজ করছিল। পুলিশ ওই গ্রামে ভোর ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করে অভিযান ও দেন দরবার করেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক

এলাকাবাসী তারার আলো সহ সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তারাগঞ্জ থানার এসআই তোহাকুল ইসলামের মেঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, অভিযান চালিয়ে থাই চক্রের ২জন সদস্য ও প্রতারককে গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি ওই গ্রামের সামছুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাসি চালানোর বিষয়ে স্বীকার করলেও অপর ২জনকে আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, ২জন থাই চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ৪ জনকে আটকের বিষয়টি আমার জানা নেই, আমার জানা মতে পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে এবং থানায় নিয়ে এসেছে। তারপরও যদি এমন কোন বিষয় হয়ে থাকে আমি খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নিব।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জের (ওসি)’র নিকট দাবী জানিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button