
তারার আলো খবর: তারাগঞ্জ উপজেলায় মন্দিরে থাকা মানসা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানসা প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মেনানগর বানিয়াপাড়া গ্রামে। গত বছর ওই গ্রামে একই রাতে দূর্গা মন্দিরসহ তিনটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেন দুর্রত্তরা।
এ ঘটনায় মন্দিরের মালিক জীবন চন্দ্র রায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। খবর পেয়ে রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রংপুর জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।
জানাগেছে, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মেনানগর বানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জীবন চন্দ্র রায় তার বাড়ির সামনে পাকাঘর তৈরী করে শিব ও মানসা প্রতিমা স্থাপন করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় জীবন চন্দ্র রায়ের পরিবারের লোকজন পুজা অর্চনা করে বাড়িতে গিয়ে শুয়ে পড়েন। দিবাগত রাতের ভোর ৫টায় জীবনের স্ত্রী রমা রানী মন্দিরে পুজা করতে গিয়ে দেখেন দুর্বত্তরা মানসা প্রতিমাটি মন্দিরের পার্শ্বেই ফেলে রেখেছেন। এতে করে মানসা প্রতিমার দুইটি হাত ও হাতের আঙ্গুলসহ স্বর্পের ফর্না ভেঙ্গে থাকতে দেয়া য়ায়।
খবর পেয়ে সকালে তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহাম্মে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিফাত ই রব্বানকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় মন্দিরের মালিক জীবন চন্দ্র রায় বিকালে অজ্ঞাতনামা আসামীর নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে বিকালে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বামন প্রসাদ, সাধারন সম্পাদক ধীমন চন্দ্র ভট্রাচার্য, সহ সভাপতি ও তারাগঞ্জ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কুমারেশ রায়, তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও হাড়িয়ারকুঠি ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাবুল, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক পাপন দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক হরলাল রায়, সহ সম্পাদক সাংবাদিক প্রবীর কুমার কাঞ্চন প্রমুখ।
তারাগঞ্জ থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী অফিসার তোহা হাসানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে বর্তমানে হাড়িয়ারকুঠির ওই এলাকায় অবস্থান করছি। আশা রাখি ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পারবো।
তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহম্মেদ জানান,প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা হয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে।