
(প্রায় শতবছর বয়সী এক বৃদ্ধ মা আগুন থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া কাপড়ের পোটলায় তার নিজের শাড়ীটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। ছবি- তারার আলো)
তারার আলো খবর:- তারাগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ পরিবারের ৮টি ঘর, মালামাল ও গাছপালা আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। এছাড়াও তিনটি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে ওই পরিবারগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। গত সোমবার (২০ আগষ্ট) রাত প্রায় সাড়ে ১১ ঘটিকায় আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হওয়ার এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কওলাপাড়া গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ওই কওলাপাড়া গ্রামের নজির হোসেনের চতুর্থ পুত্র ও একাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্র এনামুল হকের শোয়র ঘর থেকে এ আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এতে প্রায় ২০ মিনিটের ব্যবধানে নজির হোসেনের জমি বন্ধকের ফেরতের নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ৩টি টিনের ঘরসহ ওই এলাকার আনারুল হকের ২টি,নাজমুল হকের ১টি, আজিজুল হকের ১টি, সাইবুল হকের ১টি টিনের ঘর ও মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়।

এছাড়াও আবু বক্কর, ইয়াছিন আলী, লাভলু নামে তিনটি পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত তিনটিসহ ওই পাঁচটি পরিবারের ৮টি ঘর ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের উদ্ধারকর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর)সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও হাড়িয়ারকুঠি ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাবুল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নিকট গিয়ে তাদেরকে সান্তনা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেকের মাঝে তিন হাজার করে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেকের মাঝে এক হাজার করে টাকা নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আলতাব হোসেন, ওয়ার্ড ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা কামাল সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তত করতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ তরা হবে।