
তারার আলো খবর : সারা দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা জুরে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালন করা হলেও রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় পালন করা হয়নি দিবসটি।
আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসটি সরকারি অর্থায়নে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের আয়োজনে পালন করার কথা থাকলেও তা পালন না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বরাদ্দকৃত অর্থ। দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবস হওয়ায় সারা বিশ্বেই গত ৮ সেপ্টেম্বর পালন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস। তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলায় পালন করা হয় দিবসটি। প্রতিটি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের আয়োজনে দিবসটি পালন করা হলেও তারাগঞ্জ উপজেলায় দিবসটি পালন না করে যদি অর্থ বরাদ্দ থাকে। সেই অর্থ উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তর আত্মসাৎ করায় সমালোচনা শুরু হয়েছে উপজেলার শিক্ষানুরাগী ও সচেতন মহল জুরে।
জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস। তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আয়োজনে পালন করা হয় এ দিবসটি। দিবসটি পালনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে নির্দেশনা ও অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তারাগঞ্জ উপজেলায় দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে কোন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেনি উপজেলা শিক্ষা দপ্তর। দিবসটি পালন করার লক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোন দপ্তর, এনজিও কিংবা সংগঠনকে।
দেশের অন্যান্য উপজেলাগুলোতে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের আয়োজনে গ্রহণ করা হয় নানান কর্মপরিকল্পনা। যেসব আয়োজনের মধ্যে রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, শিক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিওকর্মী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগীতা, গান ও কবিতা প্রতিযোগীতা, স্বাক্ষরতা বিষয়ক নাটিকা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের।
কিন্তু তারাগঞ্জ উপজেলা এসব কোন অনুষ্ঠানেরই আয়োজন করা হয়নি। এতে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস সম্পর্কে অজ্ঞতা একদিকে থেকে গেছে উপজেলার শিক্ষক সমাজ, শিশু, কিশোর ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপরদিকে দিবসটি পালন না করায় অসম্মানিত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসটিকে।
শিক্ষা বিষয়ক কর্মকান্ড পরিচালনাকারী উপজেলার দুটি এনজিও’র ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দিবসটি আন্তর্জাতিক হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব ছিল আন্তর্জাতিক এ স্বাক্ষরতা দিবসটি পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে আমরা দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে কোন আমন্ত্রণ পাইনি।
তাই দিবসটি পালন হয়েছে কি’না তা আমাদের জানা নেই।
তারাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্থানীয় সাপ্তাহিক তারার আলো পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো: খবির উদ্দিন প্রাং বলেন, আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালনের কোন আমন্ত্রণপত্র আমরা পাইনি। হয়তো দিবসটি তারাগঞ্জ উপজেলায় পালনই করা হয়নি। যেহেতু দিবসটি আন্তর্জাতিক তাই দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে নিশ্চয়ই সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ থাকার কথা। তা ছিল কি না তা আমি পুরোপুরি জানি না। যদি বরাদ্দ থেকে থাকে, তা দিবসটি পালন না করে হয়তো সেই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ আঞ্জুমান আরা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) দিবসটি পালনের সভাপতি। কিন্তু ইউএনও মহোদয় এ বিষয়ে কোন দিক নির্দেশনা না দেওয়ায় দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আমরা কোন কিছুর আয়োজন করিনি।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সরকারি কোন বরাদ্দ ছিল কি’না এমন প্রশ্নের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করেননি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ আঞ্জুমান আরা।