
( আইনগত কারণে ধর্ষিতার ছবির মাথা কেটে দেয়া হয়েছে। এই সেই শিশু )
তারার আলো খবর:-
তারাগঞ্জ উপজেলায় স্বামী পরিত্যক্তা এক পুত্র সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোড়পুর্বক ধর্ষণের ফলে অন্তসত্বা হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর ধর্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন।
১৪ দিন আগে ওই নারীর একটি মেয়ে সন্তান প্রসব হয়েছে। ধর্ষণ মামলা হওয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষণকারিকে গ্রেফতার করতে না পারায় বর্তমানে ধর্ষিতা ও তার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠির আধাহন্যাহ পাড়া গ্রামের এক যুবকের সাথে ধর্ষিতা ওই নারীর বিয়ে হয়। স্বামীর সংসারে গিয়ে প্রায় ৭ বছর আগে ওই নারী এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন। প্রায় ৪ বছর আগে বিবাহ বন্ধন বিচ্ছিন্ন হলে ওই নারী সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের খারুভাজ গ্রামে চলে আসেন। এর পর থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতেন খারুভাজ গ্রামের মৃত করিম উদ্দিনের ছেলে ও তিন সন্তানের জনক তারাজুল ইসলাম(৪২)।
এক পর্যায়ে সুযোগ পেয়ে গত ৪ জানুয়ারীতে তারাজুল ইসলাম ওই নারীকে জোড়পুর্বক ধর্ষন করেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষন করা করা হয়। এর ফলে ওই নারী অন্তসত্বা হয়ে পড়েন। অন্তসত্বার বয়স ৩-৪ মাস হলে বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করলে ধর্ষক তারাজুল নারীর সাথে তালবাহানা শুরু করেন।
পরে উভয় পরিবার ও এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে দফায় দফায় শালিশ বৈঠক হয়। এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ৪ সেপ্টম্বর ধর্ষিতা নারী তারাগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত তারাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর পেয়ে ধর্ষক তারাজুল গা ঢাকা দেন। মামলা হওয়ার এ পর্যন্ত দেড় মাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
এদিকে, গত ৩ অক্টোবর অন্তসত্বা ওই নারী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের আজ রোববার পর্যন্ত ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় প্রসবতী নারী ও তার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারাগঞ্জ থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর সন্তান প্রসব হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির রক্ত সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো পাঠিয়েছি।
ধর্ষক তারাজুলকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, ধর্ষক তারাজুল ইসলামের এক স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।