
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ তারাগঞ্জে এনজিও’র ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ৩৫ বছর বয়সের মঞ্জুয়ারা বেগম নামের এক নারীকে থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার আটক করেছেন।
পরের দিন শুক্রবার (২৫ মার্চ) রংপুর আদালতে সোপর্দ্দ করলে আদালতের বিচারক ফয়সাল আহম্মেদ তাকে জামিন দেয়।
জানা গেছে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম প্রায় তিন বছর আগে পাশ্ববতী নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত সার্ফ সংস্থার (এনজিও) সদস্য হয়ে ৩০ হাজার টাকা গ্রহন করে।
কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা দেয়া চলাকালিন সময়ে প্রায় দু-বছর করোনা কারনে সংসারের আয়-রোজগার না থাকায় এনজিও’র ঋনের কিস্তির টাকার চাপে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে কাজ শুরু করেন। গার্মেন্টসে যাওয়ার খবর পেয়ে সার্ফ সৈয়দপুর শাখার পক্ষ থেকে নীলফামারী কোর্টে মঞ্জুয়ারার বিরুদ্ধে মামলা করা করেন।
এদিকে পরিবারের সদস্যসহ ঢাকায় চাকুরীতে অবস্থানে থাকলেও কোন প্রকার নোটিশ ছাড়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানতে পারেননি। এজন্য মঞ্জুয়ারার অজান্তে আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তারাগঞ্জ থানার এ এস আই তাজ উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাত ২টায় মঞ্জুয়ারাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
পরেরদিন শুক্রবার (২৫ মার্চ) পুলিশ আটককৃত মঞ্জুয়ারকে রংপুর আদালতে প্রেরন করেন। ওই দিন বিকেলে আদালতের বিচারক আগামী ১২ এপ্রিল নীলফামারী কোর্টে হাজির হওয়ার শর্তে মঞ্জুয়ারা বেগম জামিন দেন।
এনজিও’র সদস্য মঞ্জুয়ারা জানান, ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। মাত্র ১৪ হাজার টাকার কারনে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।