রংপুরস্থানীয়

তারাগঞ্জে করোনায় মোট ২৩৫ জন আক্রান্ত, চিকিৎসার লক্ষ্যে বিছানা সংখ্যা বৃদ্ধি

তারার আলো খবর : করোনাকালীন গত দুই বছরে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় করোনা উপসর্গধারী মোট ১ হাজার ৬৯৪ পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছে ২৩৫ জন। সুস্থ হয়েছে ২০১ জন। আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে ৫টি বিছানা থেকে বৃদ্ধি করে ১০টি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ সালে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত তারাগঞ্জ উপজেলায় করোনা উপসর্গধারী ৩১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৪৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য দপ্তর। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ৫টি বিছানায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বাকিদের হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এসময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ উপজেলায় মৃত্যু হয় ১ জনের। এসময় করোনা মহামারী আকার ধারন করলেও উপসর্গধারীদের পরীক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নমুনা পরীক্ষার হার ছিল অত্যন্ত নগণ্য।

এরপর ১৪ জানুয়ারি ২০২১ নতুন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দায়িত্বে আসার পর উপসর্গধারীদের নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহী করে তোলা হয়। করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে উপজেলার মানুষদের সচেতন করে তুলতে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি উপসর্গধারীদের নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে অবলম্বন করা হয় বিভিন্ন পন্থা। এতে উপসর্গধারীরা ছুটতে থাকে নমুনা পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চলমান ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত এ উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১ হাজার ৩৭৯ জনের। যাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায় ১৮৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয় ৪ জনের এবং চিকিৎসার পর ২০১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার লক্ষ্যে বিছানা বৃদ্ধি করে ১০টি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ বিছানা, ৪টি মহিলা বিছানা, ১টি শিশু ও ১টি বিছানা রাখা হয়েছে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। বর্তমানে এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৯ জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. শামসুন্নহার বলেন, এ বছরের প্রথম দিকে অর্থাৎ চলমান ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি যখন আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন এ উপজেলার মানুষজন করোনা উপসর্গ দেখা দিলেও নমুনা পরীক্ষা করতে চাইতো না। বিভিন্ন কুসংস্কার ও গুজবের কারণে তারা ভয় পেত। কিন্তু আমি এখানে দায়িত্ব গ্রহনের পর ব্যাপক নমুনা পরীক্ষায় ও ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালানোয় এখন এ উপজেলার মানুষজন উপসর্গ দেখা দিলেই নমুনা পরীক্ষা করছেন ও স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button