
তারার আলো খবর:- বিবাহিত কন্যাকে এক নজর দেখতে বিয়াইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিজের জামাইয়ের লাঠির আঘাতে শ্বশুরের মাথা ফেটেছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হলে জামাই ও তার সহযোগি সহ তিনজন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে,তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের হাজিপুর জানেরপাড় গ্রামে।
আহত শ্বশুর দুলাল হোসেন(৫৮) এর বাড়ি তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে। অন্যদিকে জামাই আব্দুর রহিম(২৭)এর বাড়ি একই উপজেলা ও ইউনিয়নের হাজিপুর জানেরপাড় গ্রামে।
এ ঘটনায় দুলাল হোসেনের পুত্র ফরহাদ হোসেন গত সোমবার তারাগঞ্জ থানায় তার ভগ্নিপতি আব্দুর রহিম সহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার তারাগঞ্জ থানার পুলিশ আব্দুর রহিম সহ তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
থানার মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,দুলাল হোসেনের বিবাহিত কন্যা তুলি আক্তার(২৩)কে এক নজর দেখতে গত সোমবার বিয়াইয়ের (জামাই’র)বাড়িতে যান। সেখানে শ্বশুর ও জামাইয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জামাই আব্দুর রহিম উত্তেজিত হয়ে শ্বশুর দুলাল হোসেনের মাথায় লাটি দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। এ ঘটনায় দুলাল হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে তার ভগ্নিপতি আব্দুর রহিমসহ চারজনকে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ফরহাদ হোসেন তার মামলায় উল্লেখ করেছেন আমার বিবাহিত ‘বোনকে দেখতে গেলে আমার বাবাকে তারা পূর্ব শক্রতার জের ধরে আমার ভগ্নিপতি সহ তাঁর পরিবারের লোকজন লাটি দিয়ে আঘাত করে আমার বাবার মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এ বিষয়ে আমার ভগ্নিপতি আব্দুর রহিম সহ চারজনকে আসামী করে মামলা দিয়েছি। পুলিশ আমার ভগ্নিপতি সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। আমি তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাড় দিব না।
তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফারুক আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় ‘মামলা হয়েছে। তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।