
তারার আলো খবর:-
তারাগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রী সালমাকে জবাই করে হত্যা করার ঘটনায় ঘাতক স্বামী আব্দুল্লাহকে আটক করার পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহম্মেদ এ বিষয়টি স্থানীয় তারার আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইাউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ(৫০) প্রায় ২০ বছর আগে স্ত্রী সালমা খাতুন(৪৫) কে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
সালমা খাতুন একই ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দিনের মেয়ে। ওই দম্পতির বর্তমানে চার পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রথম পুত্রকে জোড়পুর্বক বিয়ে দেয়া আর বসতভিটার জমি নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার(২৮ অক্টোবর) আব্দুল্লাহ স্ত্রী সালমাকে না বলেই একটি পালিত গরু বিক্রি করে ফেলেন। এতে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আরো বেশী করে মনোমালিন্য হয় এবং দুজনের মধ্যে একটু ঝগড়াও হয়।
ওই দিন রাত প্রায় ২ঘটিকায় ঘাতক স্বামীআব্দুল্লাহ ছুরি দিয়ে স্ত্রী সালমাকে ঘুমানো অবস্থায় জবাই করে ফেলেন। পরে অপর একটি ঘরে থাকা ছেলেদেরকে ঘুম থেকে জেগে তোলে কৌশলে বলেন যে, প্রকৃতির ডাকে আমি ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছি। পরে ঘরে ঢুকে দেখি তোমাদের মাকে কে বা কাহারা জবাই করে হত্যা করে পালিয়েছে। একথা শুনতেই ছেলেরা মায়ের কাছে গিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাটি দেখেন।
এ খবর পেয়ে রাতেই সালমার ছোট ভাই ভুট্টু মিয়া পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থানে এসে বোনকে জবাই করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন এবং সন্দেহ থাকার কারনে বোন জামাই আব্দুল্লাহকে বেঁধে ফেলেন।
পরের দিন শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালেই তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মেদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে আব্দুল্লাহকে আটক করেন এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্টসহ হত্যার খোঁজ খবর নিতে থাকেন।
এসময় তারাগঞ্জের দায়িত্বে থাকা রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিফাত-ই-রব্বান সেখানে উপস্থিত হয়ে আব্দুল্লাহকে থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেখানে পিবিআই ও সিআইডি’র পুলিশ কর্মকর্তারাও জবাই করে হত্যার বিষয়ে খোজ করতে থাকেন।
থানায় আনার পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আব্দুল্লাহ পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করেন যে, তিনি নিজেই তার স্ত্রী সালমাকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছেন।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ তারার আলোকে জানান, এ ব্যাপারে সালমার ছোট ভাই ভুট্টু মিয়া বোন জামাই আব্দুল্লাহকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।