তারাগঞ্জে ভাতিজা বউকে জোড়পুর্বক ধর্ষণের চেষ্টা, চাচা শ্বশুর অবরুদ্ধ

তারার আলো খবর:- তারাগঞ্জ উপজেলায় দুই সন্তানের জননীকে জোড়পুর্বক ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণ চেষ্টাকারি তিন সন্তানের জনককে আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সৈয়দপুর শিল্পপাড়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের পুত্র হাসানুর রহমান (২৫) প্রায় ২০ দিন আগে রডমিস্ত্রির কাজ করতে ঢাকায় গেছেন। গত রবিবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় হাসানুরের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী রেনুফা বেগম প্রকৃতির কাজ সারতে শোয়ার ঘর থেকে বাইরে বের হলে একই গ্রামের মোবারক হোসেনের পুত্র ও তিন সন্তানের জনক এমদাদুল হক (৪৪) সুযোগ বুঝে রেনুফার ঘরে ঢুকে পড়েন।
প্রকৃতির কাজ সেরে রেনুফা ঘরে ঢুকলে এমদাদুল মুখ চেপে ধরে তাকে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। পরে রেনুফার আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে এমদাদুলকে আটক করেন এবং ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি থানা পুলিশসহ ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারকে জানান। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন সোমবার(২৭ নেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী সেখানে দেখতে আসা লোকজন ভীড় করেন। এ সুযোগে দফায় দফায় চেষ্টা চালিয়ে এমদাদুল হককে ছিনিয়ে নিতে তার পরিবারের লোকজন ব্যর্থ হন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ২২ ঘন্টা ধরে এমদাদুল হক রেনুফার ঘরে অবরুদ্ধ ছিলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, দুই সন্তানের জননী রেনুফা বেগম এমদাদুল হকের ভাতিজা বউ। সেই ভাতিজা বউ সুন্দরী হওয়ায় কু-নজর দিয়ে তার সাথে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। রেনুফার স্বামী হাসানুরের বড় ভাই আতাউর রহমান জানান, থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ছোট ভাই হাসানুর ঢাকা থেকে আজ সোমবার রাতে বাড়িতে আসবে এবং রাতেই থানায় অভিযোগ করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাবুল জানান, বিষয়টি শোনার পর সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ জানান, বিষয়টি শুনেছি কিন্তু লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়েছেন বলে ওই নারীর স্বামীর বড় ভাই আতাউর রহমান তারার আলোকে জানান।