
তারার আলো খবর:- রংপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য বিনাধান-১৬ ও বিনাধান-১৭ খুবই লাভজনক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি আমন ধানের জাত। বিনা আমনের এই জাত দু’টির জীবনকাল খুব কম হওয়ায় পানি ও অন্যান্য উপকরণ খরচ কম লাগে।
বিনাধান-১৬ এর জীবনকাল মাত্র ৯০-১০০ দিন এবং বিনাধান-১৭ এ জীবনকাল মাত্র ১১০-১১৫ দিন যেখানে অতীতে আমন ধানগুলোর বিভিন্ন জাতের ধানের জীবনকাল ছিল দীর্ঘ ১৬০-১৭০ পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা দূরীকরণসহ সারা দেশের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য বিনাধান বিজ্ঞানীরা আমন মৌসুমের জন্য উচ্চ ফলনশীল স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট এই বিনাধানের জাত দুটি উদ্ভাবন করেছেন। অতীতের আমন জাতের ধানগুলোর জীবনকাল দীর্ঘদিন হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা বছরের দুটির বেশি ফসল চাষ করার সুযোগ পেতো না।
কিন্তু স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এই বিনাধান-১৬ ও বিনাধান-১৭ আমন জাতের ধান চাষ করলে আমাদের দেশের কৃষকরা আগাম আলু, সরিষাসহ শীতকালীন বিভিন্ন রবিশস্য চাষ করার সুযোগ পাবে। বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন আমন ধানের জাত বিনাধান-১৬ ও বিনাধান-১৭ এর প্রচার ও সম্প্রসারণেল লক্ষ্যে মাঠ দিবস ও শস্যকর্তন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

চর, উত্তরাঞ্চল ও পাহাড়ী শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচির অর্থায়নে এবং ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রংপুর উপকেন্দ্র ও তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ভীমপুরে শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিনাধানের মাঠ দিবস ও শস্যকর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ময়মনসিংহ এর বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের বিনা পরিচালক (প্রশাসন) ড. আবুল কালাম আজাদ, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ বিধু ভ‚ষণ রায, উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ওবায়দুর রহমান মন্ডল, তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন, তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আমিনুল ইসলাম, তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রংপুর জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আতিয়ার রহমান, আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উর্মি তাবাসসুম।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিরা বিনাধান চাষী তিনজন কৃষকের হাতে বিনা সরিষা-৯ জাতের সরিষা বীজ তুলে দেওয়া হয়।