
তারার আলো খবরঃ
তারাগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না, বরং ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে রংপুরে তারাগঞ্জের মহাসড়ক এলাকা। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কিংবা আহত হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয় কিন্তু মামলার নিস্পত্তি সহজে হয়না। গত ৫ মাসে তারাগঞ্জের সড়কে কমপক্ষে ২৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহতও হয়েছেন শতাধিক।
সর্বশেষ দুর্ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষে ৩ জন নিহত এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৪জন। তারাগঞ্জ উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের চিকলী বাজারের অদুরে দোয়ালীপাড়া মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর রানিপুর গ্রামের কালাম হোসেন (৪০), একই জেলার পার্বতীপুরের সোনাপুকুর বানিয়াপাড়ার মুসলিম মিয়া (৩৮)। রংপুরে পীরগঞ্জের সানের হাট এলাকার মৃত কাশেম আলীর ছেলে শাহাবুল ইসলাম (১৫)। এঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক পৃথক ভাবে মামলাও হয়েছে।
জানাগেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তারাগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় দুই বাসের সংঘর্ষে এক চালকসহ ৯ জন মারা যান। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অ্যাম্বুলেন্স-মিনিবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ নবজাতকসহ ৪ জন নিহত হন এবং আহত হন আরও ৪ জন।
২৮ সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় অটোরিক্সার যাত্রী এক শিশুসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। ৪ অক্টোবর নিহত হন ৩ জন। ১৯ ডিসেম্বরে নিহত হন ৫ জন। এসব দুর্ঘটনায় পৃথক পৃথক ভাবে মামলা দায়ের হলেও একটি মামলারও নিস্পত্তি হয়নি।
তদন্ত কমিটি তদন্ত রিপোর্ট খুব কমই আলোর মুখ দেখেছে দু’ একটি তদন্ত রিপোর্ট হয়তো আলো মুখ দেখেছে, কিন্তু তা তারাগঞ্জের স্থানীয় সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীর জানা নেই। পুলিশের একটি সূত্র বলেছে সাক্ষিসহ অন্যান্য কারণে এসব মামলা প্রায় গতিহীন।
ওই পথে নিয়মিত যাতায়াতকারি কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা আতঙ্কিত বোধ করে জানান, জীবন জীবীকার তাগিদে প্রায়ই ওই পথ দিয়ে যেতে হয়। তারাগঞ্জের সীমানায় বাস এলে উদ্বেগ বেড়ে যায়।
তারাগঞ্জে দুর্ঘটনা রোধে রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ গাড়ির গতি কমানোর জন্য সেতুর দুই দিকে তিন স্থানে ওই রাম্বল স্ট্রপ তৈরি করেছে। খারুভাজ সেতুটি পশ্চিম দিকে ৭০ মিটার পরপর দুই স্থানে এবং পূর্ব দিকে ৭০ মিটার দূরে এক স্থানে রাম্বল স্ট্রিপ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি রাম্বল স্ট্রিপে ১ ফুট পরপর ৫টি বিট করা হয়েছে। সেগুলোর পাশে সাদা রং দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম পাশে ৭০ মিটার পর্যন্ত গাইড পোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া ‘সামনে গতিরোধক, ধীরে চলুন’ লেখা তিনটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে সেতুর দুই পাশে। ফলে ওইস্থানে দ্রুতগামী যানবাহন গতি কমিয়ে সেতু পার হচ্ছে।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি শেখ মোঃ মাহবুব মোরশেদ দুর্ঘটনার বিষয় গুলো নিশ্চিত করে জানান, প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা গুলো মামলার গতিতে চলছে।