রংপুরস্থানীয়

তারাগঞ্জে ২৮ হাজার ৫৭৮ জনকে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান

তারার আলো খবর : সরকারি নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা জুড়ে অসামান্য সাড়া জাগিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামসুন্নাহার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে তারাগঞ্জ উপজেলার মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি গ্রহণ করেন বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা। তারই ধারাবাহিকতায় রংপুর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম. আহসানুল হক ওরফে ডিউক চৌধুরীর নির্দেশে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়ে করেছেন একাধিক মতবিনিময় ও আলোচনা। ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহ যোগাতে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত সিএইচসিপিদের দিয়েছেন পর্যাপ্ত দিক নির্দেশনা। প্রতিটি গ্রামে ভ্যাকসিন গ্রহণে মানুষদের উৎসাহীত করতে ব্যাপক প্রচারনার অংশ হিসেবে করেছেন একাধিকবার মাইকিং।

করোনা প্রতিরোধে অক্লান্ত পরিশ্রমের এক পর্যায়ে তিনি নিজে ও তার ৪ বছরের একমাত্র মেয়েসহ হয়েছেন করোনা আক্রান্ত। দীর্ঘ ১ মাস ৪ দিন করোনা আক্রান্ত থেকে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করেও থেমে থাকেনি তার করোনা প্রতিরোধে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা। চিকিৎসাধীন থেকেও তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মুঠোফোনেই দিয়েছেন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা। তারই কঠোর পরিশ্রমে ও করোনা প্রতিরোধে তার কঠোর অবস্থানের কারণেই তারাগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিন প্রান করা হয়েছে মোট ২৮ হাজার ৫৭৮ জনকে। যাদের মধ্যে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ১৬৪ জন ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৭৫১ জনকে এবং সিনোফার্ম ভ্যাকসিন দেওয়া ১০ হাজার ১৬০ জনকে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. শামসুন্নাহার বলেন, প্রথমের দিকে ভ্যাকসিন গ্রহণে এ উপজেলার মানুষ অত্যন্ত উদাসীন ছিল। অনেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণে ভয় পেত। কিন্তু ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা, বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামে গ্রামে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের উপকারিতা সম্পর্কে প্রচার চালানোর ফলে মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহী মানুষেরা ভীর জমাতে থাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্রতিদিন মানুষ আসছে ভ্যাকসিন নিতে। এখন প্রতিদিন এতো মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদানই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আমরা থেকে নেই, আগ্রহী মানুষদের আন্তরিকতার সাথে আমাদের কর্মীরা ভ্যাকসিন প্রদান করে যাচ্ছে এবং এখন পর্যন্তও যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button