তিস্তার পাানি বিপদসীমার ৭০ সে.মি ওপরে,গঙ্গাচড়ায় অকাল বন্যায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি

স্টাফ রিপোর্টার,গঙ্গাচড়া(রংপুর) :প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলে তিন্তাা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অকাল বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। পানিবন্দি লোকজনের মাঝে চরম দুর্ভোগ। ফুলে ফেঁপে ফুঁসে উঠেছে রাক্ষুসী তিস্তা।
বুধবার(অক্টোবর) দুুপুুর ১২ টায় ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পাানি বিপদসীমার (৫২.৬০)৭০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।। তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে তি¯তা ব্যারাজের ভাটি এলাকা ঊপজেলার নোহালী ইউনিয়নের নোহালী, চর নোহালী, বাগডোহরা, মিনার বাজার, চর বাগডোহরা ও নোহালী সাপমারী, আলমবিদিতর ইউনিয়নের হাজীপাড়া ও ব্যাংকপাড়া, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝের চর, সাউদপাড়া ও বাবুরটারী, বাঁধেরপাড়. লক্ষিটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, পূর্ব ইচলী, জয়রামওঝা, পশ্চিম ইচলী, মহিপুর ও কলাগাছি, গজঘন্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, গাউছিয়া,জয়দেব, রমাকান্ত, একনাথ ও কালির চর এবং মর্নেয়া ইউনিয়নের আলাল চর, তালপট্টি চর , হাজির পাড়া , নরসিংহ , মর্নেয়া চর এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কোলেকান্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু জানান, শুধু তার ইউনিয়নেই ৩ হাজার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

লক্ষিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এবারে ভয়াবহ বন্যয় তার এলাকার তিস্তার চরাঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া বুধবার বন্যা সতর্কীকরন কেন্দ্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, পানি বুধবার দুপুর ১২টায় বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ৭০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।