তিস্তার ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হলেও পাউবো হাত গুটিয়ে বসে আছেন। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অব্যাহত ভাঙনে দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন ও লালমসজিদ এলাকার প্রায় ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া গত দুই মাসের ব্যবধানে আরো অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। নিঃস্ব এসব পরিবারের মানুষজন উচু বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দ্রæত ভাঙন রোধে পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন কবলিত এলাকা সংলগ্ন শেখের খামার গ্রামে গত বছর ভাঙনকালীন পাউবো’র বাম তীর রক্ষায় ডাম্পিং করা বালু ভর্তি জিও ব্যাগও নদী গর্ভে চলে যাবে।
সরেজমিন উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের গ্রাম দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের শিকার পরিবার গুলোর সহায়সম্বল চোখের নিমিষেই নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ভাঙন রোধে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে আমাদের সব কিছু তিস্তা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। অনেক পরিবারের অভিযোগ, বৃষ্টির মধ্যে ঘরবাড়িসহ কোন রকমে আশ্রয় নিলেও কাদাপানিতে ভিজে মানবেতর দিন কাটচ্ছে।
ভাঙনের শিকার ওই গ্রামের এসএসসি পরিক্ষার্থী আল আমিন জানান, নদী ভাঙনে বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ঘর সরাতে ব্যস্ত থাকায় পরীক্ষর প্রস্তুতিও নিতে পারছি না। কিভাবে পরীক্ষা দিব, সেটাই ভাবছি।
নদী ভাঙনের শিকার অর্জুন ও লাল মসজিদ গ্রামের দেলদার আলী, কছিমুদ্দিন, রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় মানুষজন জানান, ভাঙন শুরু হলেও পাউবো কর্তৃপক্ষ এখনও ভাঙনরোধে কোন উদ্যোগ নেয়নি।
ফলে ওই এলাকা সংলগ্ন শেখের খামার গ্রামে গত বছরের ডাম্পিং করা কয়েক হাজার জিও ব্যাগ নদীতে চলে যাবে। এ পরিস্থিতিতে ভাঙন কবলিত এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নূরাণী মাদরাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও কয়েক শত একর আবাদী জমি নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন আমরা সার্বক্ষনিক নজর দারীতে রয়েছে। আপদকালীন প্রকল্প অনুমোদন হলে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।