দফায় দফায় লোডশেডিং রমেক হাসপাতালের রোগীরা চরম দুর্ভোগে

তারার আলো অনলাইন ডেস্ক: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রচণ্ড লোডশেডিংয়ের কবলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন রোগীরা। গত শুক্রবার সকাল থেকে অন্তত ৩০ বার লোডশেডিং হয়েছে। ফলে বিশেষ করে আইসিইউ, সিসিইউতে ভর্তি মুমূর্ষু রোগীরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৪টি ওয়ার্ডের আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসাধীন আছে। দফায় দফায় লোডশেডিং অব্যাহত থাকলেও হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর চালু না করায় রোগীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। হাসপাতালে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের করোনা উপসর্গ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীরা অভিযোগ করেছে, ১০ মিনিট পর পর বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে হাসপাতালে। কুড়িগ্রাম থেকে আসা আমিনুল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন অভিযোগ করেছে, সকাল থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে তার চাচা। একই অভিযোগ করেছেন নীলফামারী থেকে আসা সাবিনা বেগম।
সরোজমিন গাইনি ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড, মেডিসিন ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর জন্য রোগীদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শাফিন আহমেদ জানান, পিডিবি দায়িত্বহীনতার কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো একটি জরুরি চিকিৎসাকেন্দ্রে বিদ্যুতের লোডশেডিং ১০ মিনিট পর পর দেয়া কতটা মানবিক হেভি সুইটি তারা ভেবে দেখছে না। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে পিডিপিকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা বিদ্যুৎ জেনারেটর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপারেটরের অভাবে চালু করা যায়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার থাকায় গুজরাটের চালক হাসপাতলে আসেনি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন । তাকে বারবার খবর দেয়া হলেও সে আসেনি। সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার রেজাউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুপুর একটা পর্যন্ত ফোন রিসিভ করেননি পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ফোন রিসিভ করে বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে তা নাকি তিনি জানেন না, লোডশেডিং বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।