স্থানীয়

দরিদ্রদের পাশে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম

স্টাফ রিপোর্টার(কিশোরগঞ্জ): করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছে সরকার। লকডাউনের কারনে অনেক অসহায় পরিবার খেঁয়ে না খেঁয়ে দিনানীপাত করছে। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে ঘরবন্দি সাধারন মানুষ।
এ অবস্থায় কোন পরিবার যাতে না খেয়ে অসুস্থ হয়ে না পরে কিংবা মারা যায় সেজন্য সরকার জরুরিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রান তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া চাল,ডাল,আলুসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরন শুরু করেছে জেলা উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে পাঠানো ত্রান সামগ্রী বিতরনে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম। করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসনিক দায়িত্বপালনের পাশাপাশি দিনে ও রাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজেই হতদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবার খুঁজে বের করে তাদের হাতে এসব ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প হতে পাওয়া সরকারী জমি ও ঘরে যারা বসবাস করছেন তাদের কাছে গিয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
জানা গেছে, গত শনিবার ও রবিবার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন শেষে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি এবং নিতাই ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের বাসিন্দাদের খোঁজ খবর নিতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা গেম। এসময় তিনি তাদের মাঝে সরকারীভাবে এবং ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুজ্জামান।
নিতাই ইউনিয়নের আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের বাসিন্দা হাওয়াতোন বেওয়া(৭২) বলেন, বাবা মোর দুইটা বেটা একটা বেটি কায়ো মোর খোঁজ খবর নেয়না। টিএনও সাইব মোক ঘর দেছে। ফির শনিবার আসি মোক বস্তাত করি খাবার দিয়া গেইছে।
বাহাগিলি আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, মুই আগত মাইনসের বাড়ি বাড়ি কাম করি বেরাছুনু এলা পাকা ঘরত থাক। টিএনও মোক চাউল, ডাইল,তেল,সাবান দেছে। নকডাউনোত কনোটে বেরের পাওনা টিএনও এইলা না দিলে ভোকোতে( খিদায়) মরি যাবার নাগিল হায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রান সামগ্রী যাতে সঠিক জায়গায় পৌঁছায় সেজন্য আমি নিজে গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রকৃত দরিদ্র মানুষের হাতে ত্রান তুলে দিচ্ছি। এছাড়া যারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন তারাও গরিব তাই সব সময় কাজের ফাঁকে তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করি। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে নয় একজন মানুষ হিসেবে এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button