রাজনীতিস্থানীয়

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যখন অরাজনৈতিক সামাজিক অনুষ্ঠানে

ভোটের মাঠে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটা বেশ টান টান উত্তেজনা ও উত্তাপ ছড়ালেও সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা ভাই অথবা বন্ধুতে পরিনত হয়। তাদের আচার আচরণ দেখে বোঝার উপায় থাকে না তারা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।
আমি যাদের কথা বলতে যাচ্ছি, তারা হচ্ছেন- তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদ(উপজেলা সদর) নির্বাচনের মাঠের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আফজালুল হক সরকার ও মোঃ শাহিনুর ইসলাম মার্শাল। তাদের পিতারাও ছিলেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই হিসেবে তাদেরকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলা চলে। কিন্তু প্রায় লক্ষ্য করা যায়, অরাজনৈতিক,সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা দু’জন যেন আপন বড় ও ছোট ভাই অথবা বন্ধুতে পরিনত হয়।

গত ২১ জুন ২০২১ইং তারিখে কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রকাশিত রংপুরের একটি আঞ্চলিক পত্রিকা, সাপ্তাহিক তারার আলো এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য সহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত ও উৎসবমূখুর আনন্দঘন পরিবেশকে আরও দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে, এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা। অনুষ্ঠানে তাদের মধুর সম্পর্ক সবার দৃষ্টি কেড়েছে। সাধুবাদ ও প্রশংসা সবার মুখে মুখে। তারাগঞ্জবাসীর এ মিলন মেলার শোভা বর্ধন করে অনুষ্ঠানটিকে সাফল্য মন্ডিত করে তুলেছেন- আমাদের সবার মুরব্বী তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রংপুর জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আতিয়ার রহমান সহ অন্যান্যরা। অনেকে মন্তব্য করেছে, আফজালুল হক সরকার এবং শাহিনুর ইসলাম মার্শাল একাধিকবার কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। তাদের ভোট শুরু হলে যেমনভাবে জমে উঠে,ঠিক তেমনভাবে ভোটারদের মধ্যে শুরু হয় টান টান উত্তেজনা। তারপরও তারা নির্বাচনের আচরণ বিধি মেনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে ভোট সম্পূর্ণ করে। জনগণের দেয়া রায় বা ফলাফল মেনে নেন। বিচার শালীস সহ সামাজিক ও অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তাদের বড় ভাই ও ছোট ভাই অথবা বন্ধুর মতো আচরণ অনেকের দৃষ্টি কাড়ে। যা এখন অনেক নেতার মাঝে লক্ষ্য করা যায় না। এজন্য আফজালুল ও মার্শালের কাছে অনেকের শেখার আছে। বিশেষ করে পরবর্তীতে যারা নেতা হবে তাদের অনেক শেখার আছে। অনেকে আবার তারার আলো পত্রিকার সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি তুলেছেন, আগামীতে দলমত নির্বিশেষে আরও বড় আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সকলকে উপস্থিত করে তারাগঞ্জবাসীদের মধ্যে একটি অরাজনৈতিক সেতুবন্ধন তৈরি করার। আমরাও আপনাদের সহযোগিতায় সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করব। সবার সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় তারার আলো এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা রাখি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button