পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে রুটিনে পাঠদান

তারার আলো অনলাইন ডেস্ক: কভিড-১৯ পরিস্থিতি ক্রমে সন্তোষজনক হওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করতে ক্লাস রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) গত বুধবার অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করা হয়। মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক সাংবাদিককে বলেন, ক্লাস রুটিন প্রকাশের ক্ষেত্রে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে- ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে।
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন ক্লাসে আসবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে দুটি করে ক্লাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রুটিন প্রণয়ন করবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে সেগুলোয় সব স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসগুলো সমন্বয় করে রুটিন প্রণয়ন করবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলমান ডিগ্রি, সম্মান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করে ২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। রুটিন এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ ও বের হতে পারে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।