
ভাঙাচোরা নড়বড়ে টিনের চালায় নিদ্রাহীন রাত কাটে মজিয়ার। ছবি- প্রতিনিধি
স্টাফ রিপোর্টার,গঙ্গাচড়া(রংপুর):-
‘বৃষ্টি হলে জড়োসড়ো হয়ে পলিথিন মাথায় দিয়ে থাকি। সারা চালা জুড়ে পানি পড়ে । ঘুম আসেনা রাতে। নিদ্রাহীন রাত কাটে মজিয়ার। বড় কষ্টে আছি বাবা। জীবন আর চলে না ।
কায়ও হামার খোজ নেয় না বাবা—-এমন চিত্র রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের বিধবা মজিয়া বেগমের(৫৪)। স্বামী জোবেদ আলী মারা গেছে ৯ বছর আগে। সংসারে ৬ মেয়ে ২ ছেলে। ৫ মেয়ে ও ২ ছেলের বিয়ে হয়েছে। বাড়িতে বিবাহ যোগ্য এক মেয়ে। সাথে থাকে এক নাতনি।
দুই ছেলে বিয়ে করে একজন শ্বশুর বাড়িতে একজন অন্যত্র থাকে। জমাজমি বলতে ৩ তিন শতক জমি। গজঘন্টা ব্রিজের নীচে এবং মানস নদের সাথে একখানা ভাঙ্গা চোরা টিনের চালা। অনেক বছর আগের টিন কাঠের তৈরি এই জং ধরা নড়বড়ে চালা। সমস্ত চালা দিয়ে আকাশ দেখা যাায়।
বৃষ্টি হলে পলিথিন মাথায় দিয়ে থাকে। নিদ্রাহীন রাত কাটে মজিয়ার। অন্যের বাড়িতে কাজ করে। মাঝে মাঝে বাড়িতে স্বামীর হাত ধরে শেখা বালু আর সিমেন্টের চারি তৈরি করে থাকে । নিজের কোন টাকা নেই । মানুষের কাছ থেকে ধার নিয়ে যা লাভ হয় তাতে তার সংসার চলে না। কপালে জোটেনি বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতাও। সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট মজিয়ার। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে মজিয়ার।
সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরন্নবী সবুজ বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। চেয়ারম্যান সব জানেন।
গজঘন্টা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন,বিধবা ভাতার জন্য কাগজপত্র ঠিক করেছিলাম । এখন কি অবস্থা বিষয়টি দেখতে হবে।