রংপুর

পাগলাপীরে বিভিন্ন হাটবাজারের হোটেল রেস্তোরায় খাদ্যের বেপরোয়া মূল্যে ক্রেতারা দিশেহারা

পাগলাপীর প্রতিনিধি:
রংপুরের ব্যস্ততম বানিজ্যিক বন্দর পাগলাপীরের বিভিন্ন স্থানের হাটবাজারের হোটেল রেস্তোরায় চা, নাস্তা সহ খাদ্যদ্রব্যের বেপরোয়া মূল্যে ভূক্তভোগী ক্রেতা সাধারন দিশেহারা হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে।

জানা গেছে সাম্প্রতি পাগলাপীর বন্দরের গোলচত্ত¡র, নামাহাট, পাগলাপীর বন্দরের রংপুর দিনাজপুর ঢাকা হাইওয়ে, জলঢাকা ডালিয়া বুড়িমারী, বেতগাড়ী গংগাচড়া ও লাহিড়ীরহাট শ্যামপুর বদরগঞ্জ সহ জনগুরুত্বপূর্ণ ৫টি সড়কের দু’ধারে গড়ে উঠা বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরা সহ পাগলাপীর অঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজারের হোটেল রেস্তোরায় পরোটা, পুড়ি, মিষ্টি, ভাত, ডাল, মাছ, মাংস সহ ভোগ্যপন্য খাদ্যদ্রব্যের আকস্মিক দ্বিগুন মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাগলাপীর বন্দরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরা মালিক ব্যবসায়ীরা মাস পূর্বে যে চায়ের কাপ ৫ টাকা, পরোটা ৫টা, পুড়ি ৫টা, সিঙ্গারা ৫টা, নিমকি ৫টা, মিষ্টি ১০ টাকা প্রতি পিচ, দই ২০ টাকা, ভাত ১০টাকা, ডাল ৫টাকা, ভাজি ৫টা, ডিম-ডাল ১৫টা, খিচুরি ১৫/২০ টাকা, মাছ ৪০টাকা, গরুর মাংস ৮০ টাকা, ব্রয়লার ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলেন।

সেই ভোগ্যপন্য খাদ্যদ্রব্য এখন দ্বিগুন মূল্যে বিক্রি করতেছেন হোটেল রেস্তোরার মালিকরা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে পাগলাপীর বন্দরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরার মালিক ব্যবসায়ীরা জানান সয়াবিন তেল সহ ভোগ্যপন্য খাদ্যদব্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য আকাশ ছোয়া বেড়ে যাওয়ার ফলে হোটেল রেস্তোরায় খাদ্যদ্রব্যে এর প্রভাব পড়ছে।

সরকার ও তার প্রশাসন হাটবাজার নিয়ন্ত্রন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করত তাহলে ৬০ টাকা সয়াবিন তেলের কেজি ২০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হত না ক্রেতাদের। এছাড়াও চিনি, গুড়, আটা, ময়দা, চাল, ডাল সহ হোটেল রেস্তোরার খাদ্যদ্রব্যের সকল ধরনের উপকরনের মূল্য বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মেছিয়ার শ্রমিকের মজুরীও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

তবে মোট কথা সরকার ও তার প্রশাসনের আইনের তদারকি কিংবা যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় হাটবাজারে বাজার আইন নিয়ন্ত্রন করছেন এখন কালোবাজারী ব্যবসায়ীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button