
মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা। মানুষ যখনই অসুস্থ হয় তখন প্রয়োজন সময়মতো ওষুধ সেবন করা। সাধারণত আমাদের দেশের মানুষ ওষুধের ব্যাপারে খুব কম জ্ঞান রাখে। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ জানে না কোন ওষুধের দাম কত। জনগণের একটা বড় অংশ ওষুধের জন্য স্থানীয় ফার্মেসি-নির্ভর। তাই যে কোনো ফার্মেসিতে ইচ্ছেমতো মূল্য হিসাব করে গ্রাহক থেকে নিয়ে নেয়। ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের পাতায় সেগুলোর মূল্য মুদ্রিত থাকে না। ফলে দোকানদারদের মুখের কথার ওপর নির্ভর করেই সেগুলো ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে।
প্যাকেটের গায়ে মোট মূল্য লেখা থাকলেও প্রতিবার, প্রতিটি ক্ষেত্রে ওষুধের প্যাকেট দোকানদারের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে মোট মূল্য দেখে সেটাকে ভাগ করে প্রতি পাতায় মূল্য বের করে ওষুধ কেনা দুরূহ ব্যাপার। তাছাড়া গ্রামের অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ এতকিছু ঘেঁটে দেখেও না। এমনকি মফস্বল বা শহরের শিক্ষিতরা এ নিয়ে মাথা ঘামায় না। আর এই সুযোগে ওষুধের মূল্য নিয়ে প্রতারণা করছে এক শ্রেণির বিক্রেতা। অনেক সময় দেখা যায়, ১০ টাকা দামের একটা ওষুধের মূল্য ১০০ টাকা নিয়ে নেয়। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফার্মেসিতে গেলে তারা হিসাব যন্ত্রের মাধ্যমে হিসাব করে বিশাল অঙ্কের টাকা ধরিয়ে দেয়। মানুষের অতি প্রয়োজনীয় এই দ্রব্যের চাহিদার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ করা একটা গর্হিত কাজ। তাই ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রতিটি পাতায় মূল্য লেখা অন্তত জরুরি হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, ওষুধের প্রতি ষ্টিপ বা পাতায় মূল্য উল্লেখের বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিন।
অনির্বাণ সরকার
তারাগঞ্জ,রংপুর