
তারার আলো অনলাইন ডেস্ক:- প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতকরা ৫ ভাগেরও কম শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে মনে করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি।
মন্ত্রী বলেন শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় গিয়ে মতবিনিময় করছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন স্কুলের বাহিরে না থাকে। বাল্য বিয়ে রোধসহ কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে আপনারা কাজ করুন। গত মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সিটিটিউট মিলনায়তনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারী মোকাবেলায় দীর্ঘ দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকাকালীন আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। স্কুল খোলার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানে আসতে শুরু করেছে। প্রাথমিকের শিক্ষকদের পরিচালনার দায়িত্ব কর্মকর্তাদের নিতে হবে।
গ্রামে গৃহস্থ পাহারা না দিলে ১০ কামলার কাজ করতে ৩০ জন লাগে। তেমনি শিক্ষকদের তদারকির মাঝে রাখলে ১’ শ শিক্ষকের কাজ ১০ জনকে দিয়েই সম্ভব। মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম, পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট খোন্দকার ইকবাল হোসেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের মান-সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর অনেক সরকার এসেছে, কেউ প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের মান বাড়ায়নি। প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে ক্ষমতায় এসে এক সাথে ২৬ হাজারের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করেছেন।
বর্তমানে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে, উপবৃত্তি পাচ্ছে, শিক্ষা উপকরণ দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে উন্নতমানের অবকাঠামো নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করতে হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধির কথা চিন্তা করেছিলেন। তাই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেও কাজ করতে হবে।