বিয়ের দিন: বিয়ের কনেকেই ধর্ষণ, বিয়ের আয়োজন চলছে,এ খবর শুনেই ভেঙে গেল বিয়ে

সংযুক্ত ছবিটি একটি বিয়ের নমুনা ছবি:- সংগৃহীত
তারার আলো অনলাইন ডেস্ক:- বাদ্য বাজিয়ে রাতে আসবে বরযাত্রী সেজে। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশিদের ভিড় বাড়ছে। সবাই বিয়ের আয়োজনের কাজ নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত।
এ অবস্থায় এক ব্যক্তি (৪৫) তাঁর বাড়িতে তার স্ত্রী সহ অন্যন্যারা বাড়িতে না থাকায় আলু ভর্তা করে দিতে বিয়ের সেই পাত্রী মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৮) তার বাড়িতে ডেকে আনেন। বাড়িতে ডেকে এনে সেখানেই সুযোগ বুঝে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ছাত্রীর চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এলে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
বিয়ের কথা মাথায় রেখে ব্যাপারটি পুরোপুরি চেপে যায় তাঁর পরিবার। কিন্তু বিধি বাম শেষ পর্যন্ত ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়েটির বিয়ে ভেঙে যায়। গত শনিবার সকালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নে এ লোম হর্ষক ঘটনাটি ঘটে। মেয়েটি ওই এলাকায় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির দাদি জানান, ঘটনার দিন রাতে ওই এলাকায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য এক সালিস বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন সালিসের মুরিব্বিরা। জরিমানার বিষয়টি শুনে সালিসেই জ্ঞান হারান ওই ব্যক্তি। ফলে তাঁকে রাতেই পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মেয়েটির দাদি বলেন, ‘গ্রামবাসী চাঁদা তুলে এতিম মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু আব্দুর রহমান আমার নাতনির সব শেষ করে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
গত রোববার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা পার্বতীপুর মডেল থানায় অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে পাঠায়। মেয়েটিকে গত রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম জাফর বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: পিএ/ টিএ