
তারার আলো খবরঃ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে জোড়পুর্বক ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক যুববকে গ্রেফতার করেছে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার(৩১আগষ্ট) দুপুরে ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই কলেজ ছাত্রীকে ডাক্তরী পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট পাইকার পাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্রী (১৭) এর সাথে দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর মৌলভীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২১)। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০ মে তারাগঞ্জ থানাপাড়ার বাসিন্দা কালাম মিয়ার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কলেজ ছাত্রীকে জোড় পুর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর বিয়ের জন্য ওই কলেজ ছাত্রী অভিযুক্ত ধর্ষক ফরিদুল ইসলামকে বিয়ে করতে চাপ দিলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। কলেজ
ছাত্রী জানায়, অভিযুক্ত ধর্ষক ফরিদুল ইসলামের জোড় পুর্বক ধর্ষণের ফলে ছাত্রী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্বা হওয়ার পর ছাত্রী তার পরিবারের নিকট বিষয়টি খুলে বললে ছাত্রী পরিবার ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করেন। এতে ধর্ষক ও তার পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করলে গত ৩০ আগষ্ট ধর্ষীতা কলেজ ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করলে তারাগঞ্জ থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম ওই দিন রাত ৯টায় অভিযুক্ত ধর্ষনকারীকে বুড়িরহাট বাজার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরের দিন গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেন।