মমিনপুরে খারুভাজ নদীর গর্ভে ৫টি পরিবারের পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান ববি ও ইউএনও নুর নাহার

পাগলাপীর প্রতিনিধি:
রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর মহেশপুর গ্রামের মোকছেদুল হক সুকারু, শামছুল হক, জাকারিয়া, রতন মিয়া ও শাহিনুর আলম ৫টি পরিবার খারুভাজ নদীর গর্ভে বিলীনের পথে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাড়ালেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর নাহার বেগম এবং রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সাম্প্রতি ২০ জুন ২০২২ইং রোজ সোমবার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মমিনপুর ইউনিয়নের উত্তর মহেশপুরের ৫টি পরিবারকে খারুভাজ নদীর গর্ভে বিলীনের হাত থেকে রক্ষায় তাদের পাশে দাড়ান এবং খোঁজ-খবন নেন।
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ানোর খবরে পুরো উত্তর মহেশপুর গ্রাম জুড়ে বিরাজ করে স্বস্তির নিশ্বাস এবং ৫টি পরিবারের মানুষজন সমাজের অন্য দশ জনের মতো মাথা উচু করে বাঁচার স্বপ্ন জাগে তাদের।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের দেড় সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও সেই ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি পরিবারকে নদীর গর্ভে বিলীনের হাত থেকে বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি খারুভাজ নদীর পাড় ও বাদ রক্ষার কাজ। কবে নাগাদ শুরু হবে নদীর পাড় ও বাদ সংস্কারের কাজ আজও জানে না মমিনপুর ইউনিয়নের উত্তর মহেশপুর গ্রামবাসীরা। ফলে এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সহ গ্রামবাসীরা উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠা হয়ে পড়ছে।
অপরদিকে এ বিষয়ে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল ফোন না ধরায় সাক্ষাৎ নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর নাহার বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
তবে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতম কর্মকর্তা আলতাব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন তিনি সাংবাদিককে বলেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতম মহলের কাছে কাগজপত্রাদি পাঠিয়েছি।
তিনি আশা করেন অনুমোদন পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের রক্ষায় খারুভাজ নদীর পাড় ও বাদ সংস্কারের কাজ শুরু হবে। সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ মোকছেদুল, শামছুল হক, জাকারিয়া, রতন ও শাহিনুর সহ গ্রামবাসীরা সাংবাদিককে বলেন তাদের বাপ-দাদার পূর্ব পুরুষের ভিটে মাটি এখন খারুভাজ এখন নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে।
তারা দাবী করে বলেন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতম মহল নদীর পাড় সংস্কার করলে ৫টি পরিবারের ভিটে মাটি সহায় সম্বল রক্ষা করা সম্ভব হবে।
অন্যথায় ৫ পরিবার যে কোন মুহুর্তে খারুভাজ নদীর গর্ভে বিলীনের পথে। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি কামনা করছেন।