জাতীয়স্থানীয়

মোবাইলে লুডু খেলায় আসক্ত হচ্ছে তরুণরা সহ অনেকে,খেলছে টাকা দিয়ে জুয়া

বিশেষ প্রতিবেদন: লুডু খেলাটি সারা বিশ্বে ছিল এখনও আছে, বিশ্বের অনেক দেশে। এর আগে এটি এনালগ সিসটেমে চললেও এখন চলছে ডিজিটাল সিসটিমে অথবা সংস্করণে। এনালগের বিষয়ে কমবেশি সবাই বুঝি যেটা মোটা কাগজের তৈরি ছাপানো কোটে খেলতে হয়। আর একটি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

কথা হচ্ছে ডিজিটাল ভার্সন নিয়ে যে খেলাটিকে সহজ করে দিয়েছে। তা হচ্ছে স্মার্ট ফোন, ট্যাব দিয়ে খেলা যায়। এ খেলায় তরুণরা সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসক্ত হয়ে পড়েছে। দু’চারজন সময় কাটানোর জন্য খেললেও অধিকাংশরাই খেলছে টাকা দিয়ে। টাকা দিয়ে খেললে তো এ খেলা জুয়ায় পরিনত হতে আর বাকী থাকল না। এ জুয়া খেলা কমবেশি সারাদেশে চললেও রংপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ বোর্ড হিসেবে শত শত টাকা জমা দিয়ে খেলছে। কেউবা বাজি হিসেবে টাকা ধরছে। বিষয়টি জুয়ার মধ্যে পড়ে গেল নিশ্চয়।

দিনে রাতে প্রকাশ্যে চলছে মোবাইল ফোনে লুডুর মাধ্যমে এ জুয়া খেলা। দোকানের মালিক, কর্মচারী, শ্রমিক, মজুর, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে নানান বয়সের নানান পেশার মানুষ এ খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। নিজেদের কাজ কর্ম ফেলে অনেকে সংসারের কাজ কর্ম ফেলে এ জুয়া নামক লুডু খেলছে। খেলছে তো খেলছে দিনে রাতে টাকা দিয়ে জুয়ায় পরিনত করে।

বিশেষ করে চিন্তার বিষয় হচ্ছে আগামী দিনে যারা এ দেশের ভবিষ্যত সেই যুব সমাজের তরুণরা এ মোবাইল জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে, মোবাইল ফোনে লুডু খেলা। বাজি ধরছে, শত শত টাকা। পুরোদমে জুয়া। গোপনে অথবা প্রকাশ্যে চলছে। কেউ আমরা মানছি না, মানাও করছি না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ বাজার, ইকরচালী, বুড়িরহাট, চিকলী, ডাঙ্গীরহাট, রংপুর সদরের সিও বাজার, পাগলাপীর, শলেয়াশার বাজার শিবের বাজার, বদরগঞ্জের লালদীঘির হাট, ধোলাইঘাট, বদরগঞ্জ সদর সহ বিভিন্ন স্থানে এ মোবাইল ফোনে লুডুর মাধ্যমে জুয়া চলছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ খেলা রংপুরের সব গুলো উপজেলা সহ রংপুর অঞ্চলের সব গুলো জেলা উপজেলায় কমবেশি চলছে। এক কথায় কমবেশি বাংলাদেশের সব জেলা উপজেলায়ও চলছে। যারা দিনে আনে দিনে খায়, তারাও এ লুডু খেলায় জড়িয়ে পড়ছে।

ধীরে ধীরে যুবসমাজ সহ অনেকে আসক্তি হয়ে যাচ্ছে এই বাজি নামক জুয়ার দিকে। কে এমন আছে যে বলতে পারবে, এ খেলায় আসক্তরা ভবিষ্যতে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে না। বাজি নামক জুয়া যুব সমাজের অবক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণ হয়ে দাঁড়ানোর আগে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে কঠিন আসক্ত হয়ে পড়লে সামাল দিতে অনেক কাঠখড়ি পোড়াতে হবে।

প্রশাসনকে এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে শুরুতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পরে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে। সমাজের অভিজ্ঞমহল মনে করে শুরুতে এর ব্যবস্থা নিলে সমাজ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। রক্ষা পাবে আমাদের যুবসমাজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button