জাতীয়

লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ

তারার আলো ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে করোনা সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলেও আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

দেশে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা। রবিবার ( ৪ জুলাই) দেশে রেকর্ড ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো সুপারিশ করেছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে তা শেষ হওয়ার কথা। তবে করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাঁরা চান এই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হোক। বিজ্ঞানসম্মতভাবে সেটাই করা উচিত। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্রগুলোও বলছে, চলমান এই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। দেশব্যাপী বিধিনিষেধের পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।

গত ২৮ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ১ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। তবে প্রয়োজন মনে হলে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে।চলমান বিধিনিষেধে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট এবং গণপরিবহন ছাড়াও যন্ত্রচালিত যানবাহন (জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া) চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র, জনসমাবেশ হয়—এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও বন্ধ। অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে মানা করেছে সরকার। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই অনেক মানুষকে গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হচ্ছে। এবার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টহলে নেমেছে সেনাবাহিনী।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button